শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

নিউইয়র্কে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৬, ২০২৫, ১১:৩৫ এএম

নিউইয়র্কে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন

ছবি- সংগৃহীত

২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়, যা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এই অভ্যুত্থানে দেশের আপামর জনসাধারণের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করতে এবং এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রবাসে বিভিন্ন আয়োজন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায়, নিউইয়র্কে প্রথম বার্ষিকীতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, নিউইয়র্কের যৌথ উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের প্রথম বার্ষিকী শুক্রবার (২৫ জুলাই) উদযাপিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার অর্থ বিষয়ক বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের এবং সম্প্রতি মাইলস্টোন কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের শোকাবহ ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জুলাই অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রধান অতিথি ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী তার বক্তব্যে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অসংখ্য প্রাণহানি ও আহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ২০২৪ পরবর্তী বদলে যাওয়া বাংলাদেশ সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী অর্থনীতির গণতান্ত্রিক দেশে রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় সক্রিয় রয়েছে।

ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি, দ্রুত বিকাশমান শিল্প ও সেবাখাত, তরুণ জনগোষ্ঠী এবং মেধাবী শ্রমের সহজলভ্যতার কথা উল্লেখ করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রবাসী 'রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের' প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি নাগরিক সমাজকে বাংলাদেশ প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার উদাত্ত আহ্বান জানান।

 

রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী তার বক্তব্যের শুরুতে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসী বাংলাদেশি ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় ত্যাগের পাশাপাশি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী ভাই-বোনদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক তার স্বাগত বক্তব্যে জুলাই অভ্যুত্থানে প্রবাসী ছাত্র-জনতার ভূমিকা গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করেন এবং প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, তা বাস্তবায়নে প্রবাসীদের ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন।