সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম
দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে নেপালের তরুণদের আন্দোলন রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে দেশটির বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে একাধিক এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।
নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালেও তরুণরা আবারও রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন। কাঠমান্ডুর নতুন বানেশ্বরে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে তারা জড়ো হচ্ছেন, যদিও তাদের হাতে কোনো ব্যানার বা প্ল্যাকার্ড নেই। একজন বিক্ষোভকারী বলেছেন, “গতকালের ঘটনাই সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে। তাই আমি তরুণদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি।”
এর আগে সোমবার 'জেনারেশন জি'-এর বিক্ষোভে ১৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের নেতারা সরকারের দমননীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন কাঠমান্ডুর বড় অংশে এবং ললিতপুর জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে।
আন্দোলন কেবল রাজধানী নয়, দেশের বিভিন্ন শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে। দামাক, বীরাটমোড়, ইটাহারি, বীরাটনগর, জনকপুর, ভরতপুর, পোখারা, বীরগঞ্জ, বুটওয়াল, ভৈরহাওয়া, তুলসিপুর ও ধানগড়িসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমেছেন। অনেক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে।
সুনসারির ইটাহারি, ঝাপার বীরাটমোড় এবং দামাকে সহিংস বিক্ষোভের সময় পুলিশ গুলি চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা সরকারি কার্যালয় ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও হামলা চালিয়েছে।
পোখারায় কাস্কি জেলা প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে। নেপালি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রথমে কলেজ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে এই আন্দোলন শুরু হলেও পরে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এতে যোগ দেওয়ায় বিক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।