সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ১০:৩৭ এএম
নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে চলা তীব্র বিক্ষোভের মুখে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ ললিতপুর ও ভক্তপুর জেলায় কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বিক্ষোভের মুখে সরকার সোমবার রাতেই ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকার ‘জেন জি’দের দাবি মেনে নিয়েছে এবং আন্দোলনকারীদের শান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
-
কাঠমান্ডু: রিং রোডের ভেতরের সব এলাকায় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।
-
ললিতপুর: সকাল ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে, যা কিছু নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে কার্যকর থাকবে।
-
ভক্তপুর: সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে, যা নির্দিষ্ট কিছু পৌরসভা এলাকায় কার্যকর থাকবে।
গত রোববার থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ সোমবার আরও উত্তাল হয়ে ওঠে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত অন্তত ২০ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
গত বছর নেপালের সুপ্রিম কোর্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে সরকারিভাবে নিবন্ধিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও নিবন্ধন না করায় সরকার ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রামসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকেই তরুণ প্রজন্ম প্রতিবাদ শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে নেপালের আইন মেনে চলতে বলা হয়েছিল, যা দেশের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত।