শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্টলেডির বাসভবনে অভিযান

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৫, ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম

দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্টলেডির বাসভবনে অভিযান

ছবি- সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ একটি পরিচিত ঘটনা। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের অভিশংসন ও কারাবন্দীর পর তার স্ত্রী এবং প্রাক্তন ফার্স্টলেডি কিম কিও হি’র বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে স্টক কারসাজি ও বিলাসবহুল উপহার গ্রহণের অভিযোগ ছিল। এই অভিযোগগুলোর ভিত্তিতেই দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থা একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্টলেডি কিম কিও হি’র বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে দেশটির বিশেষ তদন্ত দল। শুক্রবার সকালে রাজধানী সিউলে তার ব্যক্তিগত বাসভবন এবং তার সাবেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কোভানা কন্টেন্টস-এর দপ্তরে এই অভিযান পরিচালিত হয়।



 

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশেষ কৌঁসুলি মিন জুং কি-এর নেতৃত্বে একটি দল এই তল্লাশি ও জব্দ কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিম কিও হি একসময় কোভানা কন্টেন্টসের মালিক এবং শীর্ষ নির্বাহী ছিলেন। গত ৪ এপ্রিল দেশটির সর্বোচ্চ আদালত তার স্বামী ইউন সুক ইয়োলকে পদচ্যুত ঘোষণা করার আগ পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন।

মিন জুং কি বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, কিম কিও হি’র বিরুদ্ধে কম্বোডিয়া এবং মঙ্গোলিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে প্রভাব বিস্তারের বিনিময়ে দামি উপহার ও নগদ অর্থ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগগুলোর মধ্যে বিলাসবহুল ডিয়র হ্যান্ডব্যাগ, শ্যানেল মেকআপ সেট এবং অন্যান্য উপহারের বিষয়ও রয়েছে। আগামী ৬ আগস্ট তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ৩ ডিসেম্বর সরকারের মধ্যে ও পার্লামেন্টে উত্তর কোরিয়ার এজেন্ট রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে সামরিক শাসন জারি করেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল। এই পদক্ষেপের পর পার্লামেন্টের এমপিদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি আদেশ প্রত্যাহার করে নেন। তবে তাতে বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়নি। পরে গত ১৪ ডিসেম্বর তাকে প্রেসিডেন্টের যাবতীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং ৪ এপ্রিল দেশটির সাংবিধানিক আদালত তাকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অপসারণ করেন। বর্তমানে ইউন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বন্দিশালায় আছেন।