জুলাই ২৯, ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
মাথার চুল পড়া সাধারণ একটি বিষয় হলেও, অতিরিক্ত চুল পড়া উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে চাপজনিত চুল পড়া অন্যান্য শারীরিক কারণে হওয়া চুল পড়ার চেয়ে একটু আলাদা। এটি সঠিকভাবে চিহ্নিত ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে চুল আবার আগের মতো ফিরে পেতে পারে।
অনেক সময় মানসিক চাপ শেষ হওয়ার কয়েক মাস পরও চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অতিরিক্ত মানসিক চাপ কিংবা উদ্বেগ চুল পড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে। চুল পড়ার পেছনে বয়স, বংশগতি, হরমোনের পরিবর্তন, ওষুধ কিংবা ‘স্টাইলিং’ কারণও থাকতে পারে। তবে মানসিক চাপের কারণে চুল পড়া একটি বিশেষ ভাগের মধ্যে পড়ে।
চাপ বা উদ্বেগজনিত চুল পড়ার লক্ষণ
চাপ বা উদ্বেগজনিত চুল পড়া বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়, যেমন:
-
চুল পাতলা হয়ে যাওয়া।
-
হঠাৎ করে গুচ্ছ গুচ্ছ চুল পড়ে যাওয়া।
-
মাথার কিছু জায়গায় চুল কমে যাওয়া।
-
চুলের গঠনে পরিবর্তন হওয়া।
কখন উদ্বিগ্ন হবেন ও কী করবেন?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, চাপজনিত চুল পড়া সবসময় স্থায়ী হয় না। মানসিক চাপ কমানো গেলে ধীরে ধীরে চুল আগের মতো ফিরে আসতে পারে। এ ধরনের চাপের কারণে এক বা দুই সপ্তাহ চুল পড়তে পারে। তবে যদি কয়েক মাস ধরে একই সমস্যা চলতে থাকে, তাহলে চিকিৎসা করানো দরকার। তখন আর ঘরোয়া যত্নে চুল পড়া কমবে না।
চাপ কমানো গেলে চুল পড়াও কমে আসে। চুলের স্বাস্থ্য ও পুনরুদ্ধার বজায় রাখতে মানসিক চাপ কমানোর জন্য ‘মাইন্ডফুলনেস’ বা মানসিক পূর্ণতা, ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য বলে মনে করেন স্বাস্থ্যবিদরা।
চুলের যত্ন
চুলের যত্নে কিছু মৌলিক বিষয় মেনে চলা জরুরি। নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা এবং চুলের উপযোগী পণ্য ব্যবহার করা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। তবে মানসিক চাপের কারণে চুল পড়লে শুধু বাহ্যিক যত্নে কাজ হবে না, মানসিক চাপ কমানোর দিকেই বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন: