সুস্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী, লাল নাকি হলুদ কলা?

কলার পুষ্টিগুণ নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। কলায় থাকা পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সহায়ক। বাজারে কলার নানা ধরনের ধরন দেখা যায়, যার মধ্যে দুটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়— হলুদ ও লাল কলা। হলুদ কলা আমরা প্রতিদিন খেয়ে থাকি, কিন্তু লাল কলা অনেকের কাছেই এখনও নতুন। তাহলে প্রশ্ন হলো—এই দুটি কলার মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী?

মিষ্টি স্বাদের পুষ্টিগুণে ভরপুর লাল কলাকে মুসা আকুমিনাটা, রেড কলা বা কিউবান কলা নামেও ডাকা হয়। দেখতে যেমন লালচে রঙের, তেমনই স্বাদে হালকা রাস্পবেরির মতো মিষ্টি। পুষ্টিবিদরা বলেন, "লাল কলা জিনগতভাবে পরিবর্তিত নয় বরং একটি পুষ্টিগুণে ভরা কলার জাত।"

এতে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি৬, বিটা ক্যারোটিন, পটাশিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম। এই পুষ্টিগুলো একত্রে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজম ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

আগুনে পোড়া রোগীদের যেভাবে স্কিন প্রতিস্থাপন করা হয়

বিস্তারিত পড়ুন

ডেঙ্গুতে নতুন প্রাণহানি: হাসপাতালে আরও ২৮০ জন ভর্তি

বিস্তারিত পড়ুন

পুষ্টিবিদরা বলেন, লাল কলা আকারে ছোট ও ঘন। এতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবারের মাঝে বা স্ন্যাকস হিসেবে লাল কলা খাওয়া উচিত—আর হলুদ কলা প্রধান খাবারের পর। এতে এর পুষ্টিগুণ আরও কার্যকরভাবে শরীরে শোষিত হবে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ, শক্তি বৃদ্ধি, হজমের উন্নতি বা হৃদযন্ত্রের সুস্থতা নিয়ে চিন্তা থাকে, তাহলে লাল কলা আপনার ডেইলি ডায়েটের জন্য একটি দারুণ সংযোজন হতে পারে। প্রতিদিন ১-২টি লাল কলা খাওয়া পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যকর।

উভয় কলাই পুষ্টিকর হলেও, লাল কলার বাড়তি পুষ্টিগুণ এবং কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একে অনেক ক্ষেত্রে আরও উপকারী করে তোলে।