মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের কবরস্থান নির্ধারণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২২, ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম

বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের কবরস্থান নির্ধারণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের দাফনের জন্য কবরস্থানের জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। এই মানবিক সিদ্ধান্তে শোকাহত পরিবারগুলোর জন্য কিছুটা স্বস্তি এসেছে।

প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের কবরস্থানের জন্য মাইলস্টোন স্কুলের কাছের উত্তরা ১২ নম্বরের সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি নিহতদের দাফন প্রক্রিয়াকে সহজ করবে এবং তাদের পরিবারের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে প্রিয়জনের শেষ আশ্রয় নিশ্চিত করবে।
 

পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, নিহত ব্যক্তিদের স্মৃতি রক্ষায় পরবর্তীতে এই কবরস্থান সংরক্ষণ করা হবে। এই পদক্ষেপটি দুর্ঘটনার শিকার হওয়া নিরীহ প্রাণগুলোর প্রতি রাষ্ট্রের সম্মান এবং তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী উদ্যোগ। এটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে এই শোক কাটিয়ে উঠতে কিছুটা হলেও মানসিক সমর্থন দেবে।
 

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছেন এবং ১৬৫ জন আহত হয়েছেন। এই সংখ্যা পূর্বের হিসাবের চেয়ে বেশি এবং এটি দুর্ঘটনার ভয়াবহতাকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু হওয়ায় সারাদেশের মানুষ গভীরভাবে শোকাহত।
 

বিমান বিধ্বস্তের এই মর্মান্তিক ঘটনাটি সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, পরীক্ষা স্থগিত, এবং আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা— সব মিলিয়ে এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন সময়ে প্রধান উপদেষ্টার এই মানবিক সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এটি সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সংহতি ও সংবেদনশীলতার একটি বার্তা। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জোরালো হচ্ছে। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এখন এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিচক্ষণতার সাথে কাজ করতে হবে।