বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

উত্তরা বিমান দুর্ঘটনা: বার্ন ইনস্টিটিউটে কঠোর নিরাপত্তা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২২, ২০২৫, ০৪:২১ পিএম

উত্তরা বিমান দুর্ঘটনা: বার্ন ইনস্টিটিউটে কঠোর নিরাপত্তা

ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় দগ্ধ ও আহতদের চিকিৎসাসেবা চলছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর থেকেই ইনস্টিটিউটে অস্বাভাবিক ভিড় ও জনসমাগম বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই, ২০২৫) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকসহ প্রতিটি প্রবেশমুখে আনসার সদস্য ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে, যারা সমন্বিতভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন।

ইনস্টিটিউটের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে রোগী, রোগীর স্বজন এবং ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি সাংবাদিকদেরও নয়। প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে কঠোর যাচাই-বাছাই অনুসরণ করা হচ্ছে। ইনস্টিটিউটের কর্মীদের তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে হচ্ছে, আর রোগীর স্বজনদের ক্ষেত্রে তারা কাকে দেখতে এসেছেন, রোগীর নাম ও ওয়ার্ড নম্বর কী—এসব নিশ্চিত করলেই কেবল প্রবেশাধিকার মিলছে।

ইনস্টিটিউটের একজন আনসার সদস্য আমাদের জানান, "আহতদের চিকিৎসা যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়, সে জন্যই জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী আমাদের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করছে।" এই ব্যবস্থা মূলত জরুরি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে নেওয়া হয়েছে।

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দা দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবাইকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাদের দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

ইনস্টিটিউট প্রশাসন জানিয়েছে, আহতদের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসাসেবা নির্বিঘ্ন রাখতেই এই নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জরুরি রোগীদের সুষ্ঠুভাবে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য একটি শান্ত ও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ অপরিহার্য। জনসমাগম বেড়ে গেলে চিকিৎসা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি আহতদের সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। এ কারণেই এই সাময়িক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।