বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ ও অভ্যুত্থানে আহতদের খোঁজ নিতে সিএমএইচে নৌ উপদেষ্টা

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বুধবার (২৩ জুলাই, ২০২৫) সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) পরিদর্শন করেছেন। এই পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য ছিল উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ অন্যান্য আহতদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নেওয়া। একইসাথে তিনি জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আহত ও বর্তমানে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছাত্রদের অবস্থাও প্রত্যক্ষ করেন।

সিএমএইচে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা ড. সাখাওয়াত হোসেন রোগীদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তিনি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে আহতদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনার ইঙ্গিত দেয়।

 

উত্তরায় ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনাকে ‘সমগ্র জাতির জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক’ বলে উল্লেখ করেন নৌ উপদেষ্টা। তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একইসঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি। তার এই সহানুভূতিশীল বক্তব্য জনগণের প্রতি সরকারের সংবেদনশীলতা তুলে ধরে।

ড. সাখাওয়াত হোসেন জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এরইমধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল টিম দেশে এনে গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে, সরকার আহতদের চিকিৎসায় কোনো প্রকার ত্রুটি রাখছে না এবং আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।

 

তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন। উপদেষ্টার এই আশ্বাসে জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে, কারণ এটি ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকারের সদিচ্ছার ইঙ্গিত দেয়। পরিদর্শনের সময় সিএমএইচ-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন, যা চিকিৎসার মান পর্যবেক্ষণে উপদেষ্টার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্রদের খোঁজ নেওয়া এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করাও উপদেষ্টার এই সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। এটি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আহতদের প্রতি সরকারের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটায়।