শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

কারাগার পরিদর্শনে ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ দেবেন না ধর্ম উপদেষ্টা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৫, ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম

কারাগার পরিদর্শনে ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ দেবেন না ধর্ম উপদেষ্টা

ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং মন্ত্রীদের কার্যকলাপ নিয়ে প্রায়শই নানা আলোচনা ও বিতর্ক তৈরি হয়। সম্প্রতি ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শন করেছেন, যা ঘিরে একটি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তার এই সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এই নিয়ে তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসল উদ্দেশ্য এবং এর পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শনের ঘটনা নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, এই সফরের কিছু ছবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাইরে পাচার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য বিকৃতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান' শিরোনামে তিনি এ বিষয়ে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন।



 

পোস্টে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, "সম্প্রতি আমি চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শন করি, যেখানে আমার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি প্রিজন ও ডেপুটি জেলার। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের ৭০ হাজার বন্দিকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার আওতায় আনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এর মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ, ধর্মীয় বই সরবরাহ এবং নামাজের স্থান নির্ধারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।"

তিনি জানান, এই পরিকল্পনাটি একটি বৃহৎ মানবিক পদক্ষেপ, যা বন্দি সমাজের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি আরও বলেন, সফরের সময় তিনি রান্নাঘর, হাসপাতাল, নারী, পুরুষ ও শিশু ওয়ার্ডসহ সকল স্থান পরিদর্শন করেছেন। এমনকি ভিআইপি বন্দীদের ওয়ার্ড এবং ফাঁসির মঞ্চও পরিদর্শন করেন।

 

ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানান, পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে কোনো ক্যামেরা ছিল না। তবে কারা কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা কিছু ছবি তুলেছিলেন, যা পরবর্তীতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাইরে পাচার করা হয়েছে। তিনি এটিকে একটি "অবৈধ প্রচারণা" বলে আখ্যায়িত করেন এবং জানান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
 

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই সফরটি সম্পূর্ণ সরকারি এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশে আয়োজিত হয়েছিল। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইজি প্রিজন, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছিল। এখানে কোনো গোপনীয়তা ছিল না।

 

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ভিআইপি ওয়ার্ডে তিনি মাত্র দুই থেকে তিন মিনিট অবস্থান করেছেন। কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত সময়ের উপস্থিতিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিকৃত করে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা একটি "কায়েমি সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্রের অংশ।" তিনি এই অপপ্রচারের জন্য পরাজিত রাজনৈতিক শক্তিকে দায়ী করেন এবং বলেন যে, তারা সরকারের শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধতাকে ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।

তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, "আমরা আমাদের গঠনমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাব, এবং কোনো ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ দেব না। সত্যের বিজয় অনিবার্য।"