শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২

জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনায় বিলম্বের কারণ জানাল কমিশন

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম

জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনায় বিলম্বের কারণ জানাল কমিশন

ছবি - সংগৃহীত

২২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা। জাকসু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোট গণনা শেষে ফলাফল পেতে রাত ১০টা থেকে ১১টা বাজতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম সাংবাদিকদের কাছে এই বিলম্বের পাঁচটি প্রধান কারণ তুলে ধরেন।

ভোট গণনায় বিলম্বের প্রধান কারণসমূহ

১. ওএমআর মেশিনের বদলে হাতে গণনা: কমিশনের প্রস্তুতি ছিল ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার জন্য। কিন্তু কয়েকজন প্রার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে হাতে গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা স্বাভাবিকভাবেই বেশি সময়সাপেক্ষ। ২. দেরিতে ভোটগ্রহণ শুরু ও ব্যালট বাক্স পৌঁছানো: সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুটি হলে কিছুটা দেরি হয়। দুটি বড় হলে যেখানে ১ হাজারেরও বেশি ভোটার ছিল, সেখানে দুপুর পর্যন্ত খুব কম ভোট পড়ে।

পরে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার দিকে ভোটারদের ভিড় বাড়লে তাদের সবাইকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এর ফলে এসব কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স আসতে রাত সাড়ে ৯টা বেজে যায়। সব কেন্দ্রের ব্যালট বাক্স না আসা পর্যন্ত গণনা শুরু করা যায় না, তাই রাত ১০টায় গণনা শুরু হয়। ৩. প্রস্তুতির অভাব: হাতে গণনার বিষয়ে সবার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা জানাশোনা ছিল না। তাই গণনার শুরুর দিকে কাজ ধীর গতিতে এগিয়েছে। পরবর্তীতে অবশ্য গতি বেড়েছে।

৪. কম সংখ্যক টেবিল: শুরুতে ৫টি টেবিলে (প্রতিটি টেবিলে একটি হলের জন্য) ভোট গণনা শুরু হয়। আজ সকালে টেবিলের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০টি করা হয়েছে। প্রতিটি টেবিলে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ৫. পোলিং এজেন্টদের অনুপস্থিতি: রাতে অনেক হলের পোলিং কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও পোলিং এজেন্টরা অনুপস্থিত ছিলেন। পোলিং এজেন্টদের সামনেই ব্যালট বাক্স খোলা ও হিসাব করার নিয়ম থাকায় গণনায় দেরি হয়।