সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এই সিদ্ধান্তটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্টে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এই নতুন ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি শুধু জাতীয় নির্বাচনেই নয়, বরং স্থানীয় সরকার পরিষদ বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা থাকার জন্যও অযোগ্য হবেন।
একইসঙ্গে তিনি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া বা অন্য কোনো পাবলিক অফিসে অধিষ্ঠিত হওয়ারও অযোগ্য হবেন। এই সিদ্ধান্তটি মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সীমাবদ্ধতা আরোপ করবে।
এই বৈঠকের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, 'বেসরকারি অংশগ্রহণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা, ২০২৫'-এর অনুমোদন। এছাড়া, 'টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক অ্যান্ড লাইসেন্সিং পলিসি ২০২৫' অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই নতুন নীতিমালার ফলে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে মানসম্মত সেবার নিশ্চয়তা এবং প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা সম্প্রসারণ হবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, এই নীতির ফলে ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসবে।