রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

ভূমিকম্পের কারণ ও মাত্রা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম

ভূমিকম্পের কারণ ও মাত্রা

ছবি - সংগৃহীত

ভূমিকম্প হলো ভূমির কম্পন, যা পৃথিবীর ভূ-অভ্যন্তরে শিলার হঠাৎ স্থান পরিবর্তনের কারণে ঘটে। এটি সাধারণত কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়, তবে এর মধ্যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে।ভূমিকম্পের প্রধান কারণ

সাধারণত তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়ে থাকে:

  • ভূ-পৃষ্ঠের হঠাৎ পরিবর্তন: ভূ-অভ্যন্তরে থাকা গ্যাস যখন ফাটল বা আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে, তখন একটি ফাঁকা স্থানের সৃষ্টি হয়। এর ফলে ভারসাম্য রক্ষার জন্য উপরের ভূ-পৃষ্ঠের অংশটি দেবে যায়, যা প্রবল কম্পনের সৃষ্টি কর

  • আগ্নেয়গিরি সংঘটিত হওয়া: আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় সৃষ্ট প্রচণ্ড চাপ এবং ভূ-অভ্যন্তরের পদার্থের স্থান পরিবর্তন ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে।

  • শিলাচ্যুতিজনিত কারণ: পৃথিবীর ভূ-ত্বক কয়েকটি বড় ও ছোট প্লেট দিয়ে গঠিত। এই প্লেটগুলো যখন একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায় বা সরে যায়, তখন শিলাচ্যুতি ঘটে এবং এর ফলে ভূমিকম্প হয়।

ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপ

ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপের জন্য রিখটার স্কেল ব্যবহার করা হয়। এই স্কেলের সীমা ১ থেকে ১০ পর্যন্ত। মাত্রা ৫-এর বেশি হলে তা ভয়াবহ দুর্যোগের কারণ হতে পারে। রিখটার স্কেলে মাত্রা এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেলে ভূমিকম্পের ক্ষমতা ১০ থেকে ৩২ গুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

  • ৫ - ৫.৯৯: মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প।

  • ৬ - ৬.৯৯: তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প।

  • ৭ - ৭.৯৯: ভয়াবহ মাত্রার ভূমিকম্প।

  • ৮-এর ওপর: অত্যন্ত ভয়াবহ মাত্রার ভূমিকম্প।