সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এবং বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা এই অসামান্য ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ তাকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারেও তিনি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পান। তার সুচিন্তিত পরিকল্পনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সামরিক সেক্টরে ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। তার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জনের পথে এগিয়ে যায়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২৬ ডিসেম্বর তাকে জেনারেল পদে উন্নীত করা হয় এবং তিনি নবগঠিত দেশের প্রথম সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান। ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল তিনি সামরিক বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে গণতন্ত্রের প্রতি তার অবিচল আস্থা প্রমাণ করেন।
এই মহান নেতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সিলেটে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সকালে ওসমানীর কবরে ফাতেহাপাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া, বিকেলে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সিলেট নগরীর নাইওরপুলের ওসমানী জাদুঘরেও বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতিসংসদ সিলেট-এর পক্ষ থেকে আগামীকাল সোমবার হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার সংলগ্ন মসজিদে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।