মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২

সেনাপ্রধানের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৩:০২ পিএম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা

ছবি - সংগৃহীত

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে, ঠিক তখনই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে এই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সেনাপ্রধান প্রথমে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার বাসভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠক শেষে তিনি বঙ্গভবনে যান এবং সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে রোববার সকালে তিনি প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সাক্ষাৎকারগুলোকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। যদিও সাক্ষাতের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আসন্ন নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এদিকে, সেনাবাহিনী প্রধান সম্প্রতি সরকারি সফরে চীনে গিয়েছিলেন। গত ২১ আগস্ট তিনি চীনে যান এবং বুধবার রাতে দেশে ফেরেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এই সফরে তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেখানে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে চীনের সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশের সামরিক শিল্পের উন্নয়নে চীনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। গত রোববার তিনি বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং জানান, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার আরও সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের শীর্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের এই বৈঠকগুলো দেশের গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।