আগস্ট ৩০, ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে দেশের ইসলামপন্থী দলগুলোর অবস্থান নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। চরমোনাই পীরের পাশে বসে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হকের দেওয়া এক বক্তব্য দেশের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। তিনি নির্বাচন, সংবিধান ও ভাস্কর্য নিয়ে বেশ কিছু কঠোর মন্তব্য করেছেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শাপলা চত্বরের শহীদদের স্বীকৃতি এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। শুক্রবার রাতে ঢাকার ধুপাখোলা মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় সিরাত কমিটি আয়োজিত সিরাতুন্নবী মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্য দেওয়ার সময় মঞ্চে তার পাশে বসেছিলেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। নির্বাচন প্রসঙ্গে মামুনুল হক বলেন, “নির্বাচনফির্বাচন অনেক পরের কাহিনি, কিসের নির্বাচন? ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের শহীদদের রক্তকে প্রথম স্বীকার করতে হবে বাংলার মাটিকে।” তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বাহাত্তরের সংবিধান বাংলার মাটিতে চলবে না, চলতে দেওয়া হবে না।”
মামুনুল হক বাহাত্তর ও চব্বিশের সংঘাতের মধ্যে কোনো আপস না করার কথা জানিয়ে বলেন, “চব্বিশের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করে যারা আবার বাহাত্তরের বাকশালী ব্যবস্থার দিকে ফেরত যেতে চান, আপনাদের আরেকবার ওজু করা দরকার।”
তিনি ভাস্কর্য নিয়েও কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “জুলাই যোদ্ধাদের নামে অথবা আমাদের মহান শহীদদের জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় ভাস্কর্য স্থাপন করবার বিপজ্জনক খেলা কেউ খেলবার চেষ্টা করবেন না।” তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, “সেই ভাস্কর্যের সঙ্গে আমাদের সেই আচরণই হবে শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের ভাস্কর্যের সঙ্গে যে আচরণ করেছিলাম, অথবা কেউ যদি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে কোনো ভাস্কর্য রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় বসাতে চান, সেই ভাস্কর্য জীবন দিয়ে প্রতিহত করব, ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেব।”
তিনি মন্তব্য করেন, বাহাত্তরের সংবিধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভারতের চরণতলে বলি দেওয়া হয়েছে।