সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ১০:৪৬ এএম
মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, চাঁদাবাজি, চাকরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক কলেজ শিক্ষক। গতকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন চাঁদপুর সদর আমলী আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন।
আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশের সিআইডি বিভাগকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। আসামিরা হলেন:
-
সুজিত রায় নন্দী (আওয়ামী লীগ নেতা)
-
দিলীপ চন্দ্র দাস (ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ)
-
হান্নান মিজি (বালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক)
-
মো. সেলিম পাটওয়ারী (ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি)
-
ড. মিজানুর রহমান (কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য)
-
শফিকুর রহমান (ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক)
মামলার এজাহারে শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসাইন উল্লেখ করেছেন যে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে সুজিত রায় নন্দী ও তার সহযোগীরা তাকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। এর আগে তারা তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা করিয়েছিলেন, যে মামলায় তিনি কারাবরণ করলেও পরবর্তীতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পান।
শিক্ষক আরও জানান, ওই মামলা দেখিয়ে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে আসামিরা প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। তিনি চাকরি রক্ষায় হাইকোর্টে রিট করলে আদালত তাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু আসামিরা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তাকে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে আসছেন।
শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, “২০১৬ সালে কলেজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এতে আমি সামাজিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচারের জন্য আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।”
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ বাবর বেপারী গণমাধ্যমকে এই মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।