সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
ইসলামে জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এই দিনের রয়েছে বিশেষ মর্যাদা। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে মুমিনদের উদ্দেশ্যে বলেন, "জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) দ্রুত এগিয়ে যাও এবং দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর।" (সূরা জুমা- ০৯)।
হাদিস শরিফে জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে এসেছে যে, এই দিনে কিছু বিশেষ আমল করলে আল্লাহ তা’আলা বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার একটি বিশেষ দরুদ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে।" (আফদালুস সালাওয়াত-২৬)। দরুদটি হলো: ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা।’
জুমার দিনে দোয়া কবুলের একটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (র.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন কোনো মুসলিম নামাজরত অবস্থায় আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন।" (বুখারি-৬৪০০)। অন্য বর্ণনা অনুযায়ী, এই সময়টি আসরের পর। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (র.) বর্ণনা করেছেন যে, এই বিশেষ মুহূর্তটি আসরের শেষ সময়ে খুঁজে নিতে বলা হয়েছে। (আবু দাউদ-১০৪৮)। এই দিনটিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি মুসলিমের উচিত নিজেদের আমল বাড়ানো এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ কামনা করা।