সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২

শেবাচিমে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে চিকিৎসকদের মানববন্ধন

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৮, ২০২৫, ০৫:১০ পিএম

শেবাচিমে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে চিকিৎসকদের মানববন্ধন

ছবি- সংগৃহীত

স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে মানববন্ধন করেছেন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা। তারা হামলাকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন, অন্যথায় কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে পৃথক স্থানে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে এই মানববন্ধনের কারণে বহির্বিভাগের চিকিৎসা সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রোগী ও তাদের স্বজনরা হাসপাতালের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

চিকিৎসা নিতে আসা বিল্ববাড়ির রোগী ফাতেমা বেগম বলেন, “খুব সকালে এসেছি, কিন্তু এসে দেখি কোনো ডাক্তার নেই। তারা সব মিছিল-মিটিং নিয়ে ব্যস্ত।” আরেক রোগীর স্বজন আব্দুল সালাম হাজী বলেন, “সকাল থেকে টিকেটের জন্য দাঁড়িয়ে আছি, এখন ডাক্তার নেই। হাসপাতালের ডাক্তাররা বরিশালবাসীকে জিম্মি করে ফেলেছে।”

 ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) বরিশাল জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল মোনায়েম সাদ বলেন, “আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অযৌক্তিক আন্দোলনের নামে চিকিৎসকদের ওপর হামলা হয়েছে। হামলাকারীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা দায়িত্ব পালন বন্ধ রাখব।”

এদিকে, মিড লেভেল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. শাখাওয়াত হোসেন সৈকত বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মেডিসিন ইউনিট-২ এর মেডিকেল অফিসার ডা. দিলিপ রায়কে মারধর করেছে। এ কারণে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় চিকিৎসকরা কর্মস্থল ছেড়েছেন। তিনি জানান, শুধু মুমূর্ষু রোগীদের জন্য জরুরি সেবা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে, এই হামলার প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। টানা ২১তম দিনের মতো তাদের এই আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া মহিউদ্দিন রনি বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, কিন্তু আমাদের ওপর বারবার হামলা করা হচ্ছে। শেবাচিম হাসপাতালের সিন্ডিকেটের সদস্যরা আমাদের ওপর হামলা করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এই হামলাকারীরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী।”

তিনি বলেন, তাদের তিন দফা দাবি মেনে নেওয়া হোক এবং হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হোক।