সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২

নামাজে অবহেলা ও অলসতা, যে কারণে এটি ক্ষতিকর স্বভাব

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৮, ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম

নামাজে অবহেলা ও অলসতা, যে কারণে এটি ক্ষতিকর স্বভাব

ছবি- সংগৃহীত

ঈমানের পরই ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ এবং ফরয আমল হলো নামাজ। এর প্রতি অবহেলা বা অলসতা প্রদর্শনকে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে মুনাফিকের আলামত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা মুনাফিকদের চরিত্র সম্পর্কে বলেছেন, “নিশ্চয় মুনাফিকরা আল্লাহর সাথে ধোঁকাবাজি করে, বস্তুতঃ তিনি তাদেরকে ধোঁকায় ফেলেন। আর যখন তারা সালাতে দাঁড়ায় তখন শৈথিল্যের সাথে দাঁড়ায়, শুধুমাত্র লোক দেখানোর জন্য এবং আল্লাহকে তারা অল্পই স্মরণ করে।” (সুরা নিসা, আয়াত : ১৪২)

এই আয়াতে মুনাফিকদের তিনটি খারাপ গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. তারা নামাজের ব্যাপারে অলসতা করে। ২. তারা মানুষকে দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ৩. তারা খুব কমই আল্লাহকে স্মরণ করে।

কোরআনের অন্য আয়াতে আল্লাহ আরও বলেছেন, “তারা নামাজে উপস্থিত হয় কেবল শৈথিল্যের সাথে, আর অর্থসাহায্য করে কেবল অনিচ্ছাকৃতভাবে।” (সুরা আত-তাওবা, আয়াত : ৫৪)। এছাড়াও, যারা নামাজের ব্যাপারে উদাসীন, তাদের জন্য দুর্ভোগের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, “কাজেই দুর্ভোগ সে নামাজ আদায়কারীদের, যারা তাদের নামাজের ব্যাপারে উদাসীন।” (সুরা মাউন, আয়াত : ৪-৫)।

হাদিসেও মুনাফিকের চরিত্রের কথা স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “এটা হচ্ছে মুনাফিকের নামাজ। সে সূর্যের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। তারপর যখন সূর্য শয়তানের দুই শিংয়ের মাঝখানে পৌঁছে (অর্থাৎ ডুবার কাছাকাছি পৌঁছে) তখন সে উঠে চারবার ঠোকর লাগায়। যাতে আল্লাহর স্মরণ খুব কমই করে থাকে।” (মুসলিম, হাদিস : ৬২২)।

এই আয়াত ও হাদিসগুলো থেকে স্পষ্ট যে, নামাজের প্রতি অবহেলা করা বা অলসতা করা একজন মুমিনের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং এটি ঈমানের দুর্বলতার লক্ষণ