আগস্ট ১৮, ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
দোয়াকে মুমিনদের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর সাহায্য লাভের একটি মাধ্যম। আল্লাহ তাআলা প্রতিটি কাজে সফল হওয়ার জন্য আমাদের নির্দিষ্ট কিছু দোয়া শিখিয়েছেন। যানবাহনে ওঠা বা ভ্রমণে বের হওয়ার সময় যে দোয়া পাঠ করা হয়, তা এই আমলগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এই দোয়া যাত্রাকে নিরাপদ ও শঙ্কামুক্ত করে তোলে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, "দোয়া ছাড়া আর কিছুই আল্লাহর সিদ্ধান্তকে বদলাতে পারে না।" (তিরমিজি, হাদিস নম্বর ২১৩৯)। তাই প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তি জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে দোয়া পাঠে অভ্যস্ত হন।
যানবাহনে ওঠার দোয়া سُبْحٰنَ الَّذِیْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَ مَا كُنَّا لَهٗ مُقْرِنِیْنَ وَ اِنَّاۤ اِلٰی رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ.
উচ্চারণ: সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা হাজা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনিন ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনকলিবুন।
অর্থ: পবিত্র সেই সত্তা, যিনি এই বাহনকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন। অন্যথায় একে বশীভূত করার ক্ষমতা আমাদের ছিল না। আর আমাদেরকে তো আমাদের প্রতিপালকের কাছেই ফিরে যেতে হবে। -সুরা যুখরুফ (৪৩) : ১২-১৪
হাদিস শরিফ থেকে জানা যায়, নবী (সা.) সফরের উদ্দেশ্যে বের হয়ে সওয়ারির ওপর পা রেখে তিনবার তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলতেন এবং এরপর এই দোয়াটি পাঠ করতেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৩৪২)
দোয়া পাঠের উপকারিতা ভ্রমণকালে এই দোয়া পাঠের একাধিক ফজিলত রয়েছে:
-
ফেরেশতাদের দোয়া: দোয়া পাঠ করলে ফিরে আসা পর্যন্ত ফেরেশতারা তার জন্য দোয়া করতে থাকে।
-
ইবাদতে রূপান্তর: ভ্রমণের শুরুতে দোয়া পাঠের কারণে পুরো ভ্রমণটাই তার জন্য ইবাদতে পরিণত হয়।
-
সহজ যাত্রা: আল্লাহতায়ালা দোয়া পাঠকারীর জন্য তার ভ্রমণকে সহজ করে দেন।
-
আল্লাহর সাহায্য: দোয়া পাঠের ফলে ভ্রমণকালীন প্রতিটি কাজে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সফরকারী তার পরিবারের জন্য দুই রাকাত নামাজের চেয়ে উত্তম কিছু রেখে যায় না। (মুসান্নাফ ইবনু আবি শাইবা, হাদিস : ৪৯১২)