মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২

নোয়াখালীর মাদরাসায় ভয়াবহ অনিয়ম, ইউএনও’র ক্ষোভ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ১০:২৭ এএম

নোয়াখালীর মাদরাসায় ভয়াবহ অনিয়ম, ইউএনও’র ক্ষোভ

ছবি- সংগৃহীত

চলতি বছর দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ ফেল করা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একটি মাদরাসায় পরিদর্শনে গিয়ে ভয়াবহ অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) শরীফপুর ইউনিয়নের দারুল ফালাহ দাখিল বালিকা মাদরাসা পরিদর্শন শেষে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ইউএনও তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, এই মাদরাসায় ১৫ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারী থাকা সত্ত্বেও গত বছর ৪ জন শিক্ষার্থীর কেউই দাখিল পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। সরেজমিনে গিয়ে তিনি দেখতে পান, একটি মুরগি/গরুর খামারে ক্লাস চলছে। প্রতি শ্রেণির জন্য মাত্র ১টি বা সর্বোচ্চ ২টি বেঞ্চ বরাদ্দ রয়েছে। শিক্ষকরা পূর্বে শিক্ষার্থী সংখ্যা বলতে না পারলেও পরে ২৪০ জনের তালিকা জমা দেয়। তবে পরিদর্শনে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র ২৭ জন শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায়। ইউএনও অভিযোগ করেন যে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা ইমাম হোসাইন প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্তির সময় মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং টাকার বিনিময়ে অন্যদের নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জায়গা নিয়েও সমস্যা রয়েছে এবং তার সঙ্গে এলাকাবাসীর সম্পর্ক ভালো নয়। ইউএনও বলেন, এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী দায়ী সকলের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত ১১ জুলাই অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট ডটকম 'নোয়াখালীতে ১৫ শিক্ষকের ৪ ছাত্রী, পাস করেনি কেউ' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান ও শামসুদ্দোহা তখন বলেছিলেন, এই মাদরাসায় শিক্ষক আছেন, কিন্তু শিক্ষা নেই। তারা মাদরাসার প্রধানকে 'দুর্নীতির রাজা' আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মাদরাসার প্রধান মাওলানা ইমাম হোসাইন বলেন, তারা ভাড়া বাড়িতে ক্লাস নেন এবং ইউএনও'র সব অভিযোগ মিথ্যা। তিনি দাবি করেন যে, ইউএনও তাদের সমস্যার সমাধান না করে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। তবে ইউএনও মো. আরিফুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে, যা তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি গোয়ালঘরের মতো একটি রুমে ৬ শ্রেণির পাঠদান দেখে অবাক হয়েছেন এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।