সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২
হবিগঞ্জ

পুরনো কূপে গ্যাসের সন্ধান, ২৫.৫৫ মিলিয়ন ঘটফুট উত্তোলনের সম্ভাবনা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম

পুরনো কূপে গ্যাসের সন্ধান, ২৫.৫৫ মিলিয়ন ঘটফুট উত্তোলনের সম্ভাবনা

ছবি - সংগৃহীত

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপে সংস্কার কাজ করার পর নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) কূপটিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রবাহ ধরা পড়ে বলে নিশ্চিত করেছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানায়।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপ থেকে আগামী ১০ বছরে ২৫.৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে। বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার এলএনজির দাম ৬৫ টাকা বিবেচনা করলে এই কূপ থেকে আনুমানিক চার হাজার ৭০০ কোটি টাকার গ্যাস পাওয়া যাবে।

এসজিএফএল ও বাপেক্সের কারিগরি দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ৩ নম্বর কূপের সংস্কারকাজ (ওয়ার্কওভার) সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে সংস্থাটির আওতায় সিলেট ১০এক্স, সিলেট ১১, ডুপিটিলা ১, কৈলাসটিলা ৯, রশিদপুর ১১ ও রশিদপুর ১৩ নম্বর কূপ খনন এবং কৈলাসটিলা ৯ ও বিয়ানীবাজার ২ নম্বর কূপের সংস্কারকাজ চলমান।

রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএম (মেইনটেনেন্স) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘কূপটি চালু হলে দৈনিক আট থেকে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে। তিন নম্বর কূপটির রিফ্রেশ করতে খরচ পড়বে ৭৩ কোটি টাকা। আমরা আশা করছি, এই কূপ থেকে প্রায় চার হাজার ৭০০ কোটি টাকার গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।’ তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এখানে পাইপলাইন ও প্রসেস প্ল্যান্ট বিদ্যমান রয়েছে, ফলে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে অন্য কোনো জটিলতা নেই।

১৯৯৪ সাল থেকে এই ৩ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। গত বছর কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর নতুন করে অনুসন্ধানের পর গ্যাসের একটি বড় স্তর পাওয়ায় কূপটিতে আবার কাজ শুরু করা হয়। রশিদপুর ১১ ও ১৩ নম্বর কূপ খননের প্রকল্পও চলমান। এগুলো সফলভাবে শেষ হলে দেশে গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।