শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

মোহাম্মদপুরে সাংবাদিকের ছিনতাই হওয়া মোবাইলসহ গ্রেপ্তার ৩

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৫, ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম

মোহাম্মদপুরে সাংবাদিকের ছিনতাই হওয়া মোবাইলসহ গ্রেপ্তার ৩

রাজধানী ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে প্রায়শই উদ্বেগ দেখা যায়। বিশেষ করে ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মতো ঘটনাগুলো জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক সাংবাদিককে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনা শুধু অপরাধের ভয়াবহতাই তুলে ধরেনি, বরং প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশের অসহযোগিতা এবং দায়িত্বহীনতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে এবং ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আহমাদ ওয়াদুদ নামে এক সাংবাদিককে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ইউসুফ (২৬), সিয়াম (২৩) ও জহুরুল (২২)।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইবনে মিজান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে ওই সাংবাদিকের একটি ফেসবুক পোস্ট আমাদের নজরে আসে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়। পরে আমরা এই ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করি ও ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই এবং সন্দেহভাজন তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করি।”

এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে মোহাম্মদপুর থানার চার পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত ১১টার দিকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ তিন সড়কের মোড়ে সাংবাদিক আহমাদ ওয়াদুদের ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী তাৎক্ষণিকভাবে মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা জানালে সেখানে তিনি পুলিশের কাছ থেকে চরম ভোগান্তির শিকার হন বলে অভিযোগ করেন।




 

ঘটনা শুনে মোহাম্মদপুর থানার তৎকালীন ওসি আলী ইফতেখার হাসান ভুক্তভোগীকে বলেছিলেন, “আমি ওসি হয়েও এই কমদামি ফোন ব্যবহার করি, আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই!” আবার ঘটনাস্থলে যাওয়ার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করে এসআই জসিম বলেন, “ওখানে ছিনতাইকারীরা বসে থাকবে নাকি? আপনার কমন সেন্স নাই?”

পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি পোস্ট দেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক, যা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা পুলিশের এমন দায়িত্বহীন আচরণ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই সমালোচনার মুখে অবশেষে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।