মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২

গত ৫ বছরে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ৮১.৫ শতাংশ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ০২:১৭ পিএম

গত ৫ বছরে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ৮১.৫ শতাংশ

ছবি - সংগৃহীত

বাংলাদেশে গত ৫০ বছরে কীটনাশকের ব্যবহার ৪০ হাজার টন বেড়েছে, যা জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে। ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার মেট্রিক টন, যা ২০২২ সালে বেড়ে ৪০ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু গত ৫ বছরের মধ্যেই ব্যবহারের হার বেড়েছে ৮১.৫ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য উঠে আসে। কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে সিএবিআই এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)।

কীটনাশকের ব্যবহার ও জনস্বাস্থ্যকর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, কীটনাশকের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে অনেক রোগবালাইয়ের জন্ম হচ্ছে। মূল প্রবন্ধে ড. দিলরুবা শারমিন জানান, কীটনাশকের ব্যবহারের কারণে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তিনি বলেন, ক্যানসারে আক্রান্ত কৃষকদের হার ৬৪ শতাংশ, যারা কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়ে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।ডিএইর মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম বলেন, যদিও আমাদের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে, তবে নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন সেভাবে বাড়েনি। তাই ২০৫০ সালের মধ্যে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

ড. দিলরুবা শারমিন তার উপস্থাপনায় আরও জানান, ১৯৯৭ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহার ছিল ১১ হাজার ৩৬৭ টন, যা ২০২২ সালে ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে উন্নীত হয়। বর্তমানে দেশে ৫ হাজার কোটি টাকার কীটনাশকের বাজার রয়েছে। কৃষি ছাড়াও মাছ চাষে, বিশেষ করে মাছের শুটকিতে, প্রচুর কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে।

কীটনাশক নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ

কর্মশালায় বক্তারা জানান, কীটনাশকের ঝুঁকি কমাতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। বায়ো-পেস্টিসাইড সম্পর্কে ড. দিলরুবা শারমিন বলেন, দেশে বর্তমানে ১১০টি বায়ো-পেস্টিসাইড নিবন্ধিত আছে এবং সরকার ৪০টি কীটনাশককে নিষিদ্ধ করেছে।

এই তথ্যগুলো প্রমাণ করে যে, খাদ্য উৎপাদন বাড়লেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা এখন এক বড় চ্যালেঞ্জ।