জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম
দেশের অর্থনীতির জন্য প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করতে এবং ডলারের সংকট মোকাবিলায় রেমিট্যান্সের ভূমিকা অপরিসীম। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহে যে ধারাবাহিক বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, তা দেশের অর্থনীতিতে এক ধরনের স্থিতিশীলতা এনেছে। চলতি জুলাই মাসেও রেমিট্যান্সের এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে।
চলতি জুলাই মাসের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৯৩ কোটি (১.৯৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)।
রোববার (২৭ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাসের বাকি দিনগুলোতেও এই গতি অব্যাহত থাকলে জুলাই মাস শেষে রেমিট্যান্স ২৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আসা এই রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির ফলে রেমিট্যান্সের এই ধারাবাহিক বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।
সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে রেকর্ড প্রবাহ এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই অর্থবছরে মোট ৩০.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই অঙ্ক ছিল ২৩.৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রবাসী আয়ের এই ধারাবাহিক বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা এবং ডলারের জোগানে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন: