সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ১০:১০ এএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হলেও এখনো চলছে ভোট গণনার কাজ। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ পাঁচটি প্যানেলের ভোট বর্জন ও পুনর্নির্বাচনের দাবির মধ্য দিয়ে গত বৃহস্পতিবার এই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২১টি আবাসিক হলের মধ্যে ১২টির ভোট গণনা শেষ হয়েছে। বাকি ৯টি হলের গণনার কাজ এখনো চলছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, দুটি টেবিলে একসঙ্গে ভোট গণনার কাজ চললেও মাঝেমধ্যে কয়েকটি হলের প্রার্থীর এজেন্ট উপস্থিত না থাকায় গণনায় সাময়িক বিরতি দেওয়া হয়। তবে যেসব হলে এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন, সেখানে গণনা অব্যাহত ছিল। হলগুলোর ভোট গণনা শেষ হলে কেন্দ্রীয় সংসদের ব্যালট গণনা শুরু হবে।
6178
নির্বাচনে আটটি প্যানেলের মধ্যে পাঁচটি প্যানেল ভোট বর্জন করেছে। তবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সমর্থিত প্যানেল শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম, ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন—এই তিনটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেওয়া অব্যাহত রেখেছে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৮০৫ জন, যার মধ্যে আট হাজার ১৬ জন ভোট দিয়েছেন, যা মোট ভোটারের ৬৭.৯ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোটের হার ছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে (৮১.৪৩ শতাংশ) এবং সর্বনিম্ন হার ছিল নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে (৪৮.৯৩ শতাংশ)।
নির্বাচন চলাকালে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। কয়েকটি প্যানেলের প্রার্থীরা প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও করেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান জানান, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচনের পরিবেশ যথেষ্ট সুষ্ঠু ছিল। নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্য, অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী জানান, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা সারাদিন দায়িত্ব পালনের কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়ায় গণনা কিছুটা ধীর গতিতে হচ্ছে।