জুলাই ২১, ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
বলিউডের এই 'ভাইজান' তার ব্রেসলেটটি কোনো পরিস্থিতিতেই হাতছাড়া করতে চান না। সিনেমার পর্দায় বিভিন্ন চরিত্রেও তার হাতে এই ব্রেসলেট দেখা যায়। এমনকি ছবির প্রয়োজনে খুলতে রাজি হলেও, তিনি সেটি নিজের থেকে দূরে সরিয়ে রাখেন না। এটি তার ভক্তদের মধ্যেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, এবং অনেকেই একই ডিজাইনের ব্রেসলেট হাতে পরে থাকেন।
মাঠ পর্যায়ের তথ্যানুযায়ী, এই ব্রেসলেটের পেছনের গল্পটি সালমান খান নিজেই একাধিকবার তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, বলিউডে পা রাখার পর তার বাবা সেলিম খান তাকে এই ব্রেসলেটটি উপহার দিয়েছিলেন। তখন থেকেই এটি তার সঙ্গী। যদিও ছোটবেলায় তিনি কখনোই ব্রেসলেট পরতে চাইতেন না, সময়ের সাথে সাথে এটি তার জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এটি শুধু একটি গহনা নয়, বরং তার জন্য এটি সৌভাগ্য এবং সুরক্ষার প্রতীক।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সালমান খান তার ব্রেসলেটের বিশেষত্ব নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি জানান, তার ব্রেসলেটের মধ্যে যে পাথরটি দেখা যায়, সেটি ফিরোজা পাথর। এই পাথরের দুটি ধরন রয়েছে, এবং ফিরোজা পাথরের আক্ষরিক অর্থ হলো নীলকান্তমণি। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন সংস্কৃতিতে ফিরোজা পাথরকে সৌভাগ্য, সুরক্ষা এবং ইতিবাচকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
বিভিন্ন সূত্রমতে, সালমান খান বিশ্বাস করেন যে এই ফিরোজা পাথর সমস্ত নেতিবাচক মনোভাব শুষে নিতে সক্ষম। তিনি মনে করেন, যখন কোনো অশুভ বা নেতিবাচক কিছুর মুখোমুখি হন, তখন এই পাথর তা বুঝতে পারে এবং তাকে রক্ষা করে। এই দৃঢ় বিশ্বাসের কারণেই তিনি সবসময় এটি হাতে পরিধান করতেই পছন্দ করেন। তার কাছে এটি কেবল একটি অলংকার নয়, বরং এটি তার জীবনের একটি রক্ষাকবচ, যা তাকে সুরক্ষা দেয় এবং ইতিবাচক শক্তি জোগায়। তাই সালমান খানের ব্রেসলেট কেবল ফ্যাশন নয়, এটি তার গভীর বিশ্বাস এবং বাবার প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য স্মারক।
আপনার মতামত লিখুন: