মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

৭০ লাখের সিনেমা আয় করেছে ৭৫ কোটি: এক বিরল রেকর্ড

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৯, ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম

৭০ লাখের সিনেমা আয় করেছে ৭৫ কোটি: এক বিরল রেকর্ড

চলচ্চিত্র জগতে কোনো সিনেমা সফল হওয়া মানেই সেটি 'হিট'। তবে বাজেট ও আয়-এর ওপর ভিত্তি করে 'সুপারহিট' বা 'ব্লকবাস্টার'-এর মতো শব্দগুলো নির্ধারিত হয়। সাধারণত, কোনো ছবি ব্যয়ের পাঁচ গুণের বেশি আয় করলে তাকে বিরল সাফল্য হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু সেই ছবিকে কী বলা হবে, যা তার বাজেটের ১০০ গুণেরও বেশি আয় করেছে? এমন অবিশ্বাস্য সাফল্যের গল্প তৈরি করেছে কন্নড় চলচ্চিত্র 'মুংগারু মালে'।

২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই রোম্যান্টিক ড্রামাটি পরিচালনা করেন লেখক-পরিচালক যোগরাজ ভাট। মাত্র ৭০ লাখ টাকা বাজেটে নির্মিত এই ছবিতে অভিনয় করেন নবাগত গণেশ এবং পূজা গান্ধী। তাদের সঙ্গে ছিলেন অভিজ্ঞ অভিনেতা অনন্ত নাগ।

মুক্তির পর ছবিটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করে। অনেক প্রেক্ষাগৃহে এটি 'গোল্ডেন জুবিলি' উদ্‌যাপন করে। বেঙ্গালুরুর একটি পিভিআর মাল্টিপ্লেক্সে ছবিটি টানা ৪৬০ দিন চলেছিল, যা এক অভূতপূর্ব রেকর্ড। এটি প্রথম কন্নড় সিনেমা, যা বিশ্বব্যাপী ৫০ কোটি টাকা আয় করে। মোট আয় ছিল ৭৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫৭ কোটি টাকাই আসে কেবল কর্ণাটক থেকে। এই রাজ্যে ছবিটি 'ইন্ডাস্ট্রি হিট' হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

'মুংগারু মালে'র অভাবনীয় সাফল্য এর প্রধান অভিনেতা গণেশ এবং পূজা গান্ধীকে রাতারাতি তারকা বানিয়ে দেয়। পরবর্তী বছরগুলোতে তারা কন্নড় সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন। তবে প্রযোজক ই কৃষ্ণর জন্য এই সাফল্য কিছুটা তিক্ত অভিজ্ঞতাও নিয়ে আসে। আয়কর বিভাগ ছবিটি থেকে ৬৭.৫০ কোটি নিট আয় হয়েছে দাবি করে এবং কর আদায়ের জন্য প্রযোজকের বাড়িতেও হানা দেয়।

'মুংগারু মালে'র এই বক্স অফিস রেকর্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অটুট ছিল, যা পরে 'কেজিএফ চাপ্টার ১' সিনেমাটি ভেঙে দেয়। এই ছবিটি পরে বাংলা, তেলেগু, ওড়িয়া এবং মারাঠি ভাষায় পুনর্নির্মিত হয়েছিল। সম্প্রতি, এটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও মুক্তি পেয়েছে, যা এর জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।