রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

বৃষ্টি ও চোখের জলে ফরিদা পারভীনকে শেষ বিদায়

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম

বৃষ্টি ও চোখের জলে ফরিদা পারভীনকে শেষ বিদায়

ছবি - সংগৃহীত

বরেণ্য লোকসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজার মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। জানাজা শেষে তার মরদেহ কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে জেলা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি মারা যান।

রোববার দুপুরে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শিল্পীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। ঝুম বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেও সেখানে সংগীত অঙ্গনের অনেকে ছুটে আসেন। এ সময় সবার চোখে ছিল শোকের অশ্রু। পরিবারের সদস্য ও সংগীত সহকর্মীরা তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

লালনকন্যা’ হিসেবে পরিচিত ফরিদা পারভীন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে তার পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’ এবং ‘বাড়ির কাছে আরশিনগর’ এর মতো জনপ্রিয় লালনগীতি তার কণ্ঠের জাদুতে মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেয়। তার ৫৫ বছরের সংগীত জীবনে তিনি লালনগীতি ছাড়াও দেশের গান ও আধুনিক গানে অবদান রেখেছেন।

ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। গত বুধবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়। অবশেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি না-ফেরার দেশে চলে যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন।