সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
বাংলাদেশসহ ভারত, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটানে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ১১ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
বাংলাদেশ ভূমিকম্পের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। ভূমিকম্প এমন এক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা আগে থেকে জানা যায় না। ভূ-পৃষ্ঠের ভেতরে টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়ার ফলে সৃষ্ট এ কম্পন হঠাৎ করে মাটি কাঁপতে শুরু করে।
এতে বাড়িঘর ভেঙে পড়ে, অনেক মানুষ হতাহত হয়, মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। অনেকে জানেন না ভূমিকম্পের মুহূর্তে কী করতে হবে। করণীয় জানা থাকলে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ভূমিকম্প হলে কী করবেন। সূত্র- আমেরিকান রেডক্রস, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস।
১. ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হওয়া যাবে না।
২. ভূমিকম্প হচ্ছে বুঝলে বা খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা ও খালি জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে।
৩. উঁচু ভবনে অবস্থান করলে এবং সেখান থেকে বের হতে না পারলে জানালা বা দেয়ালের পাশে অবস্থান না নিয়ে শক্ত কোনো বিম বা টেবিলের নিচে অবস্থান নিতে হবে।
৪. গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, মার্কেটের ভেতরে থাকলে বের হওয়ার জন্য দরজার বা সিড়ির সামনে ভিড় করা যাবে না কিংবা ধাক্কাধাক্কি না করে দুহাতে মাথা ঢেকে বসে পড়তে হবে।
৫. ভূমিকম্পের সময় সম্ভব হলে মাথার ওপর শক্ত বালিশ অথবা অন্য কোনো শক্ত বস্তু ধরে রাখুন।
৬. বহুতল ভবনে থাকলে কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তাড়াহুড়া করে লাফ দিয়ে বা লিফট ব্যবহার করে নামা থেকে বিরত থাকুন।
৭. গাড়িতে থাকলে সেতু, উড়ালসড়ক, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামাবেন। পারলে খোলা জায়গায় থামান। ভূমিকম্প না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরেই থাকুন।
৮. মোবাইল ফোনে ফায়ার সার্ভিস এবং দরকারি মোবাইল নম্বরগুলো আগাম সতর্কতা হিসেবে রেখে দিন, বিপদের সময় কাজে লাগবে।
৯. সুইচের কাছে থাকলে ফ্যান বা বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র বন্ধ করে দিন। এছাড়া গ্যাস এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে দূরে অবস্থান নিন।
১০. একবার কম্পন হওয়ার পর আবারও কম্পন হতে পারে। এভাবে পরপর ছোট ভূমিকম্পকে বলে ‘আফটার শক’। এই সময়ে আতঙ্কিত না হয়ে, সর্তক থাকুন।