বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২

কিশোরের করুণ পরিণতির পর চ্যাটজিপিটি নিয়ে নতুন পরিকল্পনা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম

কিশোরের করুণ পরিণতির পর চ্যাটজিপিটি নিয়ে নতুন পরিকল্পনা

ছবি- সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান বিতর্কের মধ্যে চ্যাটজিপিটি (ChatGPT)-এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই (OpenAI) একটি নতুন পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তার বাবা-মায়ের মামলা দায়েরের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। এর মাধ্যমে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ডিজিটাল কার্যকলাপের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন, যা প্রযুক্তির নৈতিক ব্যবহার নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) একটি ব্লগ পোস্টে ওপেনএআই জানিয়েছে, তারা এমন একটি ফিচার যুক্ত করতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে অভিভাবকরা তাদের সন্তানের চ্যাটজিপিটি অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করতে পারবেন। এই ফিচারের মূল উদ্দেশ্য হলো কিশোর-কিশোরীদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখা।

অভিভাবকরা এখন থেকে সন্তানের চ্যাট হিস্ট্রি এবং মেমোরি বন্ধ করতে পারবেন, যা তাদের সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়া, চ্যাটবট তাদের আচরণজনিত বিষয়ে কী ধরনের পরামর্শ দিচ্ছে, সেটির ওপরও তারা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই নতুন পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী কিশোর অ্যাডামের আত্মহত্যার ঘটনা। তার বাবা-মা ম্যাট ও মারিয়া রেইনের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটি তাদের ছেলেকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে এবং এর জন্য ক্ষতিকর পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করেছে।

এই ঘটনার পর ওপেনএআই চাপের মুখে পড়ে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। ওপেনএআই জানিয়েছে, আগামী মাস থেকেই এই নতুন ফিচারগুলো কার্যকর হবে এবং তারা আগামী ১২০ দিনের মধ্যে এর অগ্রগতি তুলে ধরবে। তারা আরও জানিয়েছে যে, অভিভাবক ও সন্তানদের মধ্যে আস্থা বজায় রাখার জন্য তারা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করছেন। এই পদক্ষেপটি প্রযুক্তির নৈতিক ব্যবহারের ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে উদ্ভাবনের পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার বিষয়টিও অগ্রাধিকার পাচ্ছে।