জুলাই ২৫, ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
পৃথিবী সূর্যের চারপাশে একটি নির্দিষ্ট গতিতে ঘুরছে, এবং একই সাথে নিজের অক্ষের উপরেও একটি নির্দিষ্ট গতিতে আবর্তন করছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন যে, জুলাই মাসে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলস্বরূপ পৃথিবীর দিনের পরিধি কিছুটা ছোট হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে, ১০ জুলাই বছরের সবচেয়ে কম সময়ের দিন রেকর্ড করা হয়েছে। ভবিষ্যতে দিনের সময় আরও ছোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন। পৃথিবীর দ্রুত ঘূর্ণনের কারণে বিশ্বব্যাপী সময় সমন্বয় করার প্রয়োজন হতে পারে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এই গ্রীষ্মে পৃথিবীর ঘূর্ণন তুলনামূলকভাবে দ্রুততর হচ্ছে, যার ফলে দিনের সময় কিছুটা ছোট হচ্ছে। ১০ জুলাই এখন পর্যন্ত বছরের সবচেয়ে ছোট দিন রেকর্ড করা হয়েছে। সেদিন দিনের দৈর্ঘ্য সাধারণ সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৩৬ মিলিসেকেন্ড কম ছিল। ২২ জুলাইও দিনের দৈর্ঘ্য কম ছিল ১ দশমিক ৩৪ মিলিসেকেন্ড। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী ৫ আগস্ট দিনের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ২৫ মিলিসেকেন্ড কম হতে পারে।
সময়ের সূক্ষ্ম পরিবর্তন ও এর প্রভাব
সাধারণত, এক দিনের দৈর্ঘ্য গড়ে ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ড বা ২৪ ঘণ্টা হয়। পৃথিবীর গতিশীল অবস্থার কারণে এই সময়ে সূক্ষ্ম পরিবর্তন আসে। যদিও এই সূক্ষ্ম সময়ের পরিবর্তনের বড় আকারের প্রভাব সচরাচর দেখা যায় না, তবে ছোট সময়ের বিচ্যুতি স্যাটেলাইট নেভিগেশন, টেলিযোগাযোগ, কম্পিউটার সিস্টেম এবং বিশ্বব্যাপী আর্থিক নেটওয়ার্কের ওপর প্রভাব তৈরি করে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজির পদার্থবিদ জুডাহ লেভাইন জানিয়েছেন, এই সূক্ষ্ম পরিবর্তনের জন্য ১৯৫৫ সাল থেকে পারমাণবিক ঘড়িনির্ভর সমন্বিত সর্বজনীন সময় বা ইউটিসি (Coordinated Universal Time - UTC) আন্তর্জাতিক সময় গণনার মান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অতি-নির্ভুল সময়ের হিসাব করতে এই ঘড়ি ব্যবহার করা হয়। উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সির প্রযুক্তির জগতে মিলিসেকেন্ডের পার্থক্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির এই পরিবর্তন কেন ঘটছে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাচ্ছেন। তবে, এই প্রাকৃতিক পরিবর্তনগুলো আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
আপনার মতামত লিখুন: