ইউটিউব নিয়ে এলো চমকপ্রদ নতুন এআই ফিচার

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে। বিশেষ করে ভিডিও প্ল্যাটফর্মগুলোতে এআই-এর ব্যবহার বাড়ছে, যা কনটেন্ট নির্মাতাদের কাজকে অনেক সহজ করে তুলছে। ইউটিউব, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হিসেবে, এবার তাদের শর্টস ফিচারের জন্য নতুন একটি এআই টুল নিয়ে আসছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য ভিডিও তৈরির অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ নতুন করে তুলবে। এই ফিচারটি ভিডিও কনটেন্ট তৈরির প্রক্রিয়াকে গণতান্ত্রিক ও সহজলভ্য করে তুলবে।

আপনার মোবাইলের গ্যালারিতে পড়ে থাকা সাধারণ ছবি এবার জীবন্ত হয়ে উঠবে! ভিডিও বানানো যাদের কাছে এখনো কঠিন বা সময়সাপেক্ষ মনে হয়, তাদের জন্য ইউটিউব আনছে এক বিশাল চমক— ‘ইমেজ টু ভিডিও’ নামের নতুন একটি এআই (AI) ফিচার। যার মাধ্যমে আপনি একটি স্থিরচিত্র দিয়েই তৈরি করে ফেলতে পারবেন ৬ সেকেন্ডের আকর্ষণীয় ভিডিও।

জুলাই মাসে দ্রুত ঘুরছে পৃথিবী

বিস্তারিত পড়ুন

যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন হাতিয়ার: জার্মানির ‍‍`সাইবার তেলাপোকা‍‍`

বিস্তারিত পড়ুন

গুগলের তৈরি শক্তিশালী ভিডিও জেনারেশন মডেল Veo 2 এর ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে এই টুল। এটি ইউজারদের একটি ছবি থেকে অল্প সময়েই তৈরি করে দিতে পারবে শর্ট ভিডিও।

বর্তমানে ফিচারটি শুধু নির্ধারিত কিছু প্রম্পট (নির্দেশনা) বেছে নেওয়ার মাধ্যমে কাজ করে। অর্থাৎ, ব্যবহারকারীরা এখনই নিজের মতো করে কিছু টাইপ করে এআইকে নির্দেশ দিতে পারবেন না। তবে প্রস্তুতকৃত অপশনগুলো থেকে যেটা বেছে নেওয়া হবে, এআই সেটি অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করে দেবে। ভিডিওর দৈর্ঘ্য এখন সর্বোচ্চ ৬ সেকেন্ড, তবে ভবিষ্যতে গুগল এই সময়সীমা আরও বাড়াতে পারে।

এই এআই প্রযুক্তি শুধু ইউটিউব শর্টসেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। গুগল ফটোজ অ্যাপেও আসছে নতুন ফিচার— ‘রিমিক্স’। এই টুলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজের ছবিকে কমিক স্টাইল, স্কেচ স্টাইল বা থ্রিডি অ্যানিমেশনে রূপান্তর করতে পারবেন। এছাড়া এখান থেকেও ছবি দিয়ে বানানো যাবে ছোট ভিডিও ক্লিপ (সর্বোচ্চ ৬ সেকেন্ড)। এই সব ফিচার পাওয়া যাবে গুগল ফটোজ-এর নতুন ‘ক্রিয়েট’ ট্যাবে।

গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ফিচারগুলো এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। অর্থাৎ, সব কিছু এখনো পুরোপুরি নিখুঁত নয়। তবে ইউজাররা চাইলে প্রতিটি ভিডিওতে ‘লাইক’ বা ‘ডিজলাইক’ দিয়ে তাদের মতামত জানাতে পারবেন। গুগল বলছে, এই ফিডব্যাকই ভবিষ্যতে টুলগুলো আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে।

যেকোনো এআই-জেনারেটেড কনটেন্ট শনাক্তকরণের জন্য গুগল প্রত্যেকটি কনটেন্টে গোপনে যুক্ত করেছে একটি অদৃশ্য ওয়াটারমার্ক— ‘সিনথআইডি’ (SynthID)। এটি দিয়ে শনাক্ত করা যাবে কোন কনটেন্টটি এআই দিয়ে বানানো হয়েছে।

বর্তমানে ‘ইমেজ টু ভিডিও’ এবং ‘রিমিক্স’ ফিচার দুটি শুধু যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে ব্যবহার করা যাবে। তবে গুগল জানিয়েছে, পরবর্তীতে এই ফিচার ধাপে ধাপে অন্য দেশেও চালু করা হবে।

ছবি থেকে ভিডিও তৈরি করার এই যুগে ইউটিউবের নতুন এআই ফিচারটি শুধু সময়ই বাঁচাবে না, বরং যারা ভিডিও বানাতে চাইলেও ঝামেলার ভয়ে শুরু করতে পারছিলেন না, তাদের জন্য খুলে দেবে এক নতুন দিগন্ত।