সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ারের ওপর দিয়ে ভেনিজুয়েলার দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান উড়ে যাওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনিজুয়েলার মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক জলসীমায় মোতায়েন থাকা ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস জেসন ডানহামের ওপর দিয়ে এই ঘটনা ঘটে। পেন্টাগন এই ঘটনাকে 'অত্যন্ত উসকানিমূলক' বলে অভিহিত করে ভেনিজুয়েলাকে সরাসরি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
এই ঘটনার মাত্র দুদিন আগেই ভেনিজুয়েলার একটি নৌযানে মার্কিন হামলায় ১১ জন নিহত হয়। ওয়াশিংটন দাবি করেছে যে ওই নৌযানটি অবৈধ মাদক বহন করছিল এবং নিহতরা কুখ্যাত অপরাধীগোষ্ঠী 'ট্রেন দে আরাগুয়া'-র সদস্য। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই দাবিকে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে, ভেনিজুয়েলার সরকার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পেন্টাগন এক বিবৃতিতে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে আবারও মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে এবং ভেনিজুয়েলাকে সতর্ক করে দিয়েছে যে তাদের মাদকবিরোধী ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে আর কোনো হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না।
বর্তমানে ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত সাতটি যুদ্ধজাহাজ এবং সাড়ে চার হাজার সেনা ও মেরিন মোতায়েন রয়েছে। সীমান্তের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে ভেনিজুয়েলায় উদ্বেগ বাড়ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান চলবে এবং "আমেরিকার জনগণকে বিষ (মাদক) দেওয়ার দিন শেষ।" অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর ট্রাম্প প্রশাসনের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া কোনো প্রেসিডেন্টের পক্ষে এককভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করা সম্ভব নয়।