সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ১০:২০ এএম
ভারত: বয়সের সেঞ্চুরি পার করেছেন অনেক আগেই। কিন্তু এবার জীবনের এই পড়ন্ত বিকেলে এক বিরল ও অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী হলেন ভারতের কোচবিহারের নৃপেন্দ্র বর্মণ। ১০২ বছর বয়সী এই বৃদ্ধের মুখে নতুন করে ‘দুধের দাঁত’ গজিয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তার গ্রামের মানুষজনের মধ্যে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে, এবং আয়োজন করা হয়েছে মহাভোজের।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা কোচবিহারের বড় হলদিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নৃপেন্দ্র বর্মণ। তিনি গ্রামের সবচেয়ে প্রবীণতম ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তার ভোটার কার্ড অনুযায়ী বয়স ১০২ বছর হলেও, তিনি নিজে দাবি করেন তার বয়স ১১৩। সম্প্রতি তার নাতি-নাতনিরা লক্ষ্য করেন, ক্ষয়ে যাওয়া ও পড়ে যাওয়া দাঁতের জায়গায় মুখের মাড়ি ফুঁড়ে নতুন, ধবধবে সাদা তিনটি দাঁত বের হচ্ছে।
এই অলৌকিক ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। তারা বৃদ্ধের ‘অন্নপ্রাশনের’ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেন, যা নবজাতকের প্রথমবার ভাত খাওয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) গ্রামের বাড়িতে এই বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। শুধু গ্রামের মানুষজনই নন, এই উৎসবে যোগ দিতে এসেছিলেন হলদিবাড়ির বিডিও রেঞ্জি লামু ভুটিয়া এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৃদ্ধ নৃপেন্দ্র বর্মণ এখনো বেশ শক্তসমর্থ। একাই চলাফেরা করতে পারেন। জানা যায়, একসময় তার বাড়ি ছিল বাংলাদেশের রংপুর জেলার মুক্তির হাটের ভোগডাবুড়ি গ্রামে। ১৯৭২ সালে তিনি ভারতে চলে আসেন এবং এরপর থেকে সেখানেই বসবাস করছেন। তার তিন ছেলে, চার মেয়ে এবং ৩৪ জন নাতি-নাতনি রয়েছে।
এমন বিরল ঘটনায় তিনি নিজেও কিছুটা অপ্রস্তুত ও লজ্জিত। তবে তার মুখে একগাল হাসি ছিল, যা তার আনন্দকে প্রকাশ করছিল। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এমন ঘটনা বিরল হলেও, অসম্ভব নয়। তবে স্থানীয়দের কাছে এটি একটি অলৌকিক ঘটনা হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।