মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো ইউরোপের আরেক দেশ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো ইউরোপের আরেক দেশ

ছবি - সংগৃহীত

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ লুক্সেমবার্গ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লুক ফ্রিডেন জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের শীর্ষ সম্মেলনে তারা অন্যান্য কয়েকটি দেশের সাথে মিলে এই উদ্যোগে সামিল হবে।

এটি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।সোমবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া-র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী লুক ফ্রিডেন সাংবাদিকদের বলেন, "সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতি হয়েছে।

দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান এখনো প্রাসঙ্গিক—এটি প্রমাণ করার জন্য বিশ্বজুড়ে একটি আন্দোলন গড়ে উঠেছে।" তিনি আরও জানান যে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে তার সরকার এই আন্দোলনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।লুক্সেমবার্গের এই উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

এছাড়াও, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং বেলজিয়ামও জাতিসংঘের আসন্ন অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। এই দেশগুলোর সম্মিলিত পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে জনমতকে আরও শক্তিশালী করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে এই উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করেছে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, এই ধরনের স্বীকৃতি হামাসকে "উৎসাহ" দিচ্ছে। তাদের মতে, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা আলোচনার মাধ্যমেই নির্ধারিত হওয়া উচিত, একতরফা স্বীকৃতির মাধ্যমে নয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৬৪,৯০০ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। সম্প্রতি জাতিসংঘের তদন্তে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় 'গণহত্যা' চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সাথে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যকে উস্কানিমূলক ও সহিংসতাকে উসকে দেওয়ার জন্য দায়ী করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, লুক্সেমবার্গসহ ইউরোপের একের পর এক দেশের এই স্বীকৃতি ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সমর্থন আরও জোরদার করবে। এটি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানে একটি নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে।