সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে কাতার। গত সপ্তাহে কাতারের ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে চালানো 'বেআইনি' হামলার জেরে এই পদক্ষেপ নিতে পারে দেশটি। এ লক্ষ্যে কাতারের প্রধান আলোচক মোহাম্মদ আল-খুলাইফি হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রেসিডেন্ট বিচারক তোমোকো আকানের সঙ্গে দেখা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে একজন কাতারি কর্মকর্তা বলেন, কাতারের ওপর ইসরায়েলি হামলার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইসিসি প্রতিটি আইনি ও কূটনৈতিক উপায় অবলম্বন করছে। কাতারে হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে চালানো প্রাণঘাতী ইসরায়েলি হামলা উপসাগরীয় দেশগুলোতে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কারণ এসব দেশ দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল।
হামাস জানিয়েছে, এই হামলায় তাদের রাজনৈতিক ব্যুরোর শীর্ষ কর্মকর্তারা বেঁচে গেলেও কাতারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তাসহ পাঁচজন সদস্য নিহত হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা ইসরায়েলের এই আক্রমণকে 'বেআইনি' এবং 'আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন' বলে অভিহিত করেছেন।
যদিও আইসিসির পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে কাতার সরাসরি আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে না, তবে আরব ও ইসলামিক ব্লকগুলো তাদের সদস্যদের ইসরায়েলকে তার কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে বাধা দেওয়ার জন্য সম্ভাব্য সকল আইনি ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
আইসিসি প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আল-খুলাইফি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে-এ এক পোস্টে বলেছেন যে, তার এই সফর 'কাতার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবৈধ ইসরায়েলি সশস্ত্র আক্রমণের জবাব দেওয়ার জন্য আইনি পথ অনুসন্ধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কাজের অংশ'।
এর আগে, গত বছর আইসিসি গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। একই সঙ্গে আইসিসি ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্ট এবং হামাস কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফকে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানায়।