রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

ভারত-সমর্থিত ৩ জঙ্গিকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৬, ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম

ভারত-সমর্থিত ৩ জঙ্গিকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের

ছবি- সংগৃহীত

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা এবং পারস্পরিক সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ নতুন নয়। পাকিস্তান প্রায়শই অভিযোগ করে থাকে যে, ভারত তাদের ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে মদদ দিচ্ছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের সোয়াত অঞ্চলে একটি যৌথ অভিযান এবং তাতে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের নিহত হওয়ার ঘটনা আবারও এই অভিযোগকে সামনে এনেছে, যা আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

পাকিস্তানের সোয়াত অঞ্চলে এক যৌথ অভিযানে ভারত-সমর্থিত ‘ফিতনা আল-খারিজ’ জঙ্গিগোষ্ঠীর তিন সদস্যকে হত্যার দাবি করেছে দেশটির পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)। নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু (হাই ভ্যালু টার্গেট), যার মাথার মূল্য ২০ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছিল পাকিস্তান সরকার। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

 

সিটিডি-এর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা এবং পুলিশ সদস্যদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নিহতদের মধ্যে অন্যতম আজমল ওরফে ওয়াকাস ছিলেন গ্রাম প্রতিরক্ষা পরিষদের সদস্যদের হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত এবং মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।

দ্বিতীয় নিহত জঙ্গিকে মতিউল্লাহ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে, যিনি ইসহাক ও জুনায়েদ নামেও পরিচিত ছিলেন। তৃতীয় নিহত জঙ্গির নাম রহিমুল্লাহ রেহমানি, যিনি রোহুল্লাহ নামে পরিচিত ছিলেন।

 

সিটিডি আরও জানায়, এই জঙ্গিরা আইইডি (বিস্ফোরক ডিভাইস) হামলা, চাঁদাবাজি এবং বিদেশি অর্থায়নের সহায়তায় সোয়াত অঞ্চলে সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজ করছিল।

 

আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তা শের আকবর খান এই অভিযানকে ‘ফিতনা আল-খারিজ’ গোষ্ঠীর সোয়াত ও আশপাশের এলাকার কার্যক্রমে একটি বড় আঘাত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “গোষ্ঠীটির নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।”

খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের পুলিশ মহাপরিদর্শক জুলফিকার হামিদ সিটিডি ও সোয়াত পুলিশের এই সফল অভিযানের প্রশংসা করেন এবং বলেন, “প্রদেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”