জুলাই ২৭, ২০২৫, ১০:৩৫ এএম
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই উত্তেজনা, রান এবং অপ্রত্যাশিত ফলাফল। যখন একটি দল ২০০ রানের বেশি সংগ্রহ করে, তখন সাধারণত তাদের জয়ের পাল্লা ভারি থাকে। কিন্তু আধুনিক ক্রিকেটে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সাম্প্রতিক চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তেমনই এক চিত্র দেখা গেছে, যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সম্মিলিত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার একক দৃঢ়তায় ম্যাচটি হাতছাড়া হয়েছে।
‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ’—চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেন এই মন্ত্র নিয়েই মাঠে নেমেছিল। ২০৬ রানের বিশাল পুঁজি গড়েও শেষ পর্যন্ত দিনশেষে জয় হলো অস্ট্রেলিয়ার। ৪ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল সফরকারীরা।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল। ওপেনার ব্রেন্ডন কিং করেন ১৮ রান, শাই হোপ করেন ১০। এরপর শারফেন রাদারফোর্ড ১৫ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, যা শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের সর্বোচ্চ রান হয়ে থাকে। একের পর এক উইকেট হারালেও দলীয় রান ঠিকই বাড়তে থাকে। শেষদিকে জেসন হোল্ডারের ২৬ রান এবং ম্যাথিউ ফোর্ডের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের স্কোর ২০০ ছাড়িয়ে যায়।
২০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক মিচেল মার্শ প্রথম বলেই আউট হন। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও জশ ইংলিস মিলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন। ম্যাক্সওয়েল মাত্র ১৮ বলে ৪৭ রান করেন, যার মধ্যে ছিল ৬টি ছক্কা। ইংলিস করেন ৫১ রান।
১৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ঠিক তখনই ত্রাতা হয়ে আসেন ক্যামেরন গ্রিন। তিনি ৩৫ বলে ৫৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। তাকে সঙ্গ দেন আরন হার্ডি, যিনি ২৩ রান করেন। এই দুজনের ৫১ রানের জুটিই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
ম্যাচ জেতার সুযোগ তৈরি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১৯তম ওভারে রোমারিও শেফার্ড ক্যামেরন গ্রিনের একটি সহজ ক্যাচ ফেলে দেন। এই ভুলের মাশুলই শেষ পর্যন্ত দিতে হয় স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত গ্রিন এবং শন অ্যাবট ম্যাচটি শেষ করে আসেন। জেসন হোল্ডার ও হোসেইন চেষ্টা করেও অস্ট্রেলিয়াকে থামাতে পারেননি। আবারও ২০০ রানের বেশি করেও হার মানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আপনার মতামত লিখুন: