বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

তাবলিগ জামাতের বিবাদ মেটাতে কমিটি করছে সরকার

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম

তাবলিগ জামাতের বিবাদ মেটাতে কমিটি করছে সরকার

ছবি- সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের দুটি প্রধান অংশের (সাদপন্থী ও জোবায়েরপন্থী) মধ্যে মতবিরোধ ও সংঘাত বিরাজ করছে, যা দেশের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার আয়োজনকেও প্রভাবিত করছে। এই বিবাদ নিরসনে সরকার বিভিন্ন সময় উদ্যোগ গ্রহণ করলেও স্থায়ী সমাধান মেলেনি। সম্প্রতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সমস্যা সমাধানে নতুন করে উদ্যোগী হয়েছে এবং একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে, যা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।

তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষের সমস্যা মেটাতে সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো দুই পক্ষের মধ্যে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো।



বুধবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, “একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে এ কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে দুই পক্ষের প্রতিনিধি থাকবেন। আশা করি এই কমিটির মাধ্যমে উভয় গ্রুপ একটি সমঝোতায় উপনীত হতে পারবে। সামনে সংঘাতের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা এটাই চাচ্ছি।”

বৈঠকে শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি: এ সময় তাবলিগের সাদ ও জোবায়েরপন্থী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে তাবলিগ জামাতের দু’গ্রুপের বিদ্যমান বিরোধ মেটাতে দুই গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম উপদেষ্টা।

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “বৈঠকে দুই গ্রুপের শীর্ষ প্রতিনিধিরা ছিলেন। আমরা তাদের চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলাম। দুই গ্রুপের মধ্যে সমস্যা তো আছেই সেটা একটা সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য চেষ্টা করছি। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে। আশা করি নবগঠিত কমিটি দুপক্ষের বিবাদ মেটাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট দিবে।”

সরকারের এই পদক্ষেপ তাবলিগ জামাতের দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ সংকট নিরসনে সহায়ক হবে এবং ভবিষ্যতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনার পথ সুগম করবে বলে আশা করা হচ্ছে।