লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জন কারাগারে

রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন সকালে ১৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক তৌফিক হাসান তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী 'মঞ্চ ৭১'-এর ব্যানার ব্যবহার করে প্রকৃতপক্ষে দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের প্ররোচনা দিচ্ছিলেন।

আফ্রিদির জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য, মানি লন্ডারিং মামলার ইঙ্গিত

বিস্তারিত পড়ুন

এই ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্যের জন্য উপস্থিত লোকজন তাদেরকে ঘেরাও করে স্লোগান দেয়। পুলিশ মনে করে, আসামিরা পরস্পর সহায়তাকারী হিসেবে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপরাধ করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামিদের নাম-ঠিকানা যাচাই না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখা জরুরি বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত শেষে প্রয়োজনে তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলেও জানানো হয়।

এদিকে, আসামিপক্ষে আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখিসহ অন্যরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিদের তালিকা এ মামলায় যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মঞ্জুরুল আলম, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খাঁন, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহম্মদ আলী এবং মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।

উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘মঞ্চ ৭১’ আয়োজিত একটি গোলটেবিল বৈঠকে হট্টগোল ও উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়।