মাকে জড়িয়ে মোদিকে কটূক্তি, কংগ্রেস-বিজেপির তুমুল সংঘর্ষ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার মাকে নিয়ে কটূক্তিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিহারের রাজধানী পাটনার সাদাকাত আশ্রমে কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মুহূর্তেই কংগ্রেসের রাজ্য দপ্তর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

ঘটনার সূত্রপাত কয়েক দিন আগে, বিহারের দরভঙ্গায় কংগ্রেসের এক সমাবেশে। সেখানে এক কংগ্রেস কর্মী মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও তার প্রয়াত মাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যের সময় রাহুল গান্ধী উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তিনি নীরব ছিলেন বলে অভিযোগ বিজেপির। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

সেপ্টেম্বরে কি পদত্যাগ করছেন মোদি?

বিস্তারিত পড়ুন

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে বিজেপির একটি প্রতিবাদ মিছিল পাটনার সাদাকাত আশ্রমে অবস্থিত কংগ্রেসের দপ্তরের সামনে অবস্থান নেয়। মুহূর্তেই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। লাঠি ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে উভয় দলের কর্মীরা রাস্তায় নেমে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একপর্যায়ে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন এবং কংগ্রেস দপ্তরের গেটসহ আশপাশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পাটনার পাশাপাশি একই দিনে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তরের সামনেও বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। সেখানে রাহুল গান্ধীর ছবি ও পোস্টার ছিঁড়ে আগুনে পোড়ানো হয়। বিজেপি অভিযোগ করে, মোদিকে নিয়ে কংগ্রেস কর্মীর অশ্লীল মন্তব্যের জবাবেই এই প্রতিবাদ। অন্যদিকে, কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে এটি ছিল একটি পরিকল্পিত ভাঙচুর। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে।

সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পর দুই দলই একে অপরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে। কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি নির্বাচনের আগে ভয় দেখানোর কৌশল নিচ্ছে, আর বিজেপির অভিযোগ—মোদিকে কটূক্তির ঘটনায় কংগ্রেস নেতৃত্ব ইচ্ছাকৃতভাবে নীরব থেকেছে।