শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

লিটন দাসের ডেথ বোলিংয়ে উন্নতির তাগিদ, আলোচনায় সাহিবজাদা ফারহানের ইনিংস

স্পোর্টস ডেস্ক

জুলাই ২৫, ২০২৫, ১১:২৯ এএম

লিটন দাসের ডেথ বোলিংয়ে উন্নতির তাগিদ, আলোচনায় সাহিবজাদা ফারহানের ইনিংস

সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুটি সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ দল বেশ আত্মবিশ্বাসী। অধিনায়ক লিটন দাসের নেতৃত্বে দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে উন্নতির ছাপ স্পষ্ট। বিশেষ করে নতুন বলে বোলারদের সাফল্য ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে সিরিজ জয়ের আনন্দ ছাপিয়েও কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্নতির তাগিদ অনুভব করছেন লিটন দাস। তিনি দলের ডেথ ওভারের বোলিং নিয়ে বিশেষ করে চিন্তিত, যা ভবিষ্যতের বড় টুর্নামেন্টগুলোতে দলের সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই, ২০২৫) মিরপুরে পাকিস্তান সিরিজ জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস তার দলের ডেথ বোলিং নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন। তিনি বলেন, "নতুন বলে আমরা খুবই ভালো বোলিং করছি, কিন্তু ডেথ ওভারে আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে। এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা এবং গোটা দলও একই কথা মনে করে।" লিটন তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ব্যাটসম্যানরা যখন ভালো উইকেটে ধারাবাহিকভাবে রান করেন, তখন বোলারদের ম্যাচ জেতানোর সুযোগ আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে টি-২০ বিশ্বকাপের মতো বড় আসরের আগে এই দিকটায় উন্নতি জরুরি। তিনি মুস্তাফিজুর রহমানের মতো ডেথ ওভার স্পেশালিস্টদের কার্যকারিতা তুলে ধরেছেন এবং অন্যদেরও এই ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং পেসারদের ঘূর্ণায়মান নীতি নিয়েও তিনি কথা বলেছেন, যাতে প্রধান বোলারদের চোটের ঝুঁকি কমানো যায়।

ডেথ বোলিংয়ে উন্নতির এই আলোচনার সূত্র ধরে পাকিস্তান সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচের কথা উঠে আসে, যেখানে পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে এক ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। সিরিজ পাকিস্তান আগেই হেরে গেলেও, ২৪ জুলাইয়ের ওই ম্যাচে ফারহান মাত্র ৪১ বলে ৬৩ রানের এক বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন, যা পাকিস্তানের ১৭৮ রানের বড় সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তার ইনিংসটি ছিল ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো। পাওয়ার প্লে থেকেই তিনি বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন, যা শেষ দিকের ওভারগুলিতেও দলের জন্য গতি তৈরি করে। ফারহানের এই ইনিংসই লিটন দাসের ডেথ বোলিং নিয়ে উদ্বেগের অন্যতম কারণ হতে পারে, কারণ এমন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানদের শেষ দিকে আটকে রাখাটা দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

লিটনের এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, বাংলাদেশ দল আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে ডেথ ওভারের বোলিং নিয়ে কঠোর অনুশীলন করবে। বাংলাদেশের বোলারদের, বিশেষ করে পেসারদের, আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ ডেলিভারি এবং সঠিক লেন্থ-লাইন বজায় রাখার ওপর জোর দিতে হবে, যাতে শেষ দিকের ওভারগুলোতে প্রতিপক্ষকে বড় রান তোলা থেকে বিরত রাখা যায়। দলের ব্যাটিং ইউনিটকেও ভালো উইকেটে বড় রান করার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে, যা বোলারদের উপর থেকে চাপ কমিয়ে দেবে।