ক্রীড়া উপদেষ্টা কেন খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলবেন না, জানালেন কারণ।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে, বিশেষ করে দল গঠন এবং খেলোয়াড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। এটি দলের পেশাদারিত্ব এবং খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে অনেকেই মনে করেন। সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার পর, বাংলাদেশের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেছেন এবং জানিয়েছেন কেন তিনি খেলোয়াড়দের সাথে সরাসরি যোগাযোগ এড়িয়ে চলেন।
 

পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার পর টাইগারদের ২-১ ব্যবধানে জয়ের দিনে ম্যাচ দেখতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি দল গঠনে বিগত সময়ে মন্ত্রীদের সরাসরি হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেছেন এবং কেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলতে চান না, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

এশিয়া কাপে একই গ্রুপে ভারত-পাকিস্তান, মুখোমুখি অন্তত দুইবার

বিস্তারিত পড়ুন

টিকিটের অর্থ বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও জুলাইযোদ্ধাদের দেবে বিসিবি

বিস্তারিত পড়ুন

আসিফ মাহমুদ বলেন, "বিগত সময়ে আমরা দেখেছি যে মন্ত্রী এসে বলছে যে এই খেলোয়াড় খেলবে না। এগুলোতে একটা প্রতিষ্ঠান কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আমি যদি খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলি তাহলে এখানে স্বার্থের সংঘাত তৈরি হবে অবশ্যই। দেখা যেতে পারে ক্রিকেটাররা আমার কাছে অন্য ধরনের কিছুই চাইতে পারে যেটা নিয়মের মধ্যে পড়ে না। আমার মনে হয় পেশাদারিত্বের সাথে হ্যান্ডেল করা উচিত।"

তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, "দলের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তারাই দল নিয়ে কাজ করবে। আমাদের কাজ প্রশাসন ও পলিসি নিয়ে কাজ করা, আমরা ওটাই করব। যে যার যার কাজ করলে আগামী দিনে আরো ভালো হবে।"
 

ক্রীড়া উপদেষ্টা দাবি করেন, রাতারাতি অবশ্য পরিবর্তন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, "অবশ্যই ইতিবাচক। তবে রাতারাতি তো পরিবর্তন সম্ভব না। আমরা কাজ করতে চাচ্ছি লম্বা সময়ের জন্য। আমরা এখন পলিসি দিতে চাচ্ছি, বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে করতে চাচ্ছি, প্রোপার ট্রেনিং সেট-আপ দিতে চাচ্ছি। এর ফল হয়ত আমরা এখন পাবো না, কিন্তু পাঁচ বছর পরে দেখা যাবে। লং টার্মে এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাবে।"

 

পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সাথে তার বৈঠকের বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, "আমরা আমাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। যেখানে বাংলাদেশ ভালো, সেটা নিয়ে পাকিস্তান উপকৃত হতে পারে। যেখানে পাকিস্তান ভালো, সেটা নিয়ে যেন আমরা উপকৃত হতে পারি।"

পরে এসিসির সভা নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, "এসিসির সভার ব্যাপারে পিসিবি অনেক সহযোগিতা করেছে বিসিবিকে। সফল একটা সভা হয়েছে ঢাকায়। আশা করি, এটা অব্যাহত থাকবে। অনেক বাধা ছিল, পিসিবি অনেক সাহায্য করেছে, আরো কিছু ক্রিকেট বোর্ড সহযোগিতা করেছে। আশা করি, ক্রিকেটের মাধ্যমে আঞ্চলিক সম্পর্ক আরো ভালো হবে।"