বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২

মেসি কি খেলবেন না ইকুয়েডর ম্যাচে?

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ১০:৫৭ এএম

মেসি কি খেলবেন না ইকুয়েডর ম্যাচে?

ছবি- সংগৃহীত

২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে লিওনেল মেসি খেলবেন কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এই খবরটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বিশ্ব ফুটবল অঙ্গনে, কারণ একদিকে তার জাতীয় দলের হয়ে খেলা, অন্যদিকে ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের চাপ। আমাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে গেলেও ইন্টার মিয়ামি কর্তৃপক্ষ চাইছে মেসিকে ইকুয়েডর ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হোক। মেসির নিজের ফিটনেস নিয়ে উদ্বেগ এবং ক্লাবের স্বার্থের দ্বন্দ্ব এই পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

মাঠ পর্যায়ে ঘুরে দেখা গেছে, ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ঘরের মাঠে মেসি তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছেন। এই ম্যাচটিকে ঘিরে ইতোমধ্যেই বুয়েনস এইরেসে সাজ সাজ রব। দেশের মাটিতে সম্ভাব্য শেষ ম্যাচ হওয়ায় মেসি তার পুরো পরিবারকে ডেকেছেন এবং এর জন্য তিনি পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আসল চ্যালেঞ্জ আসছে ইকুয়েডর ম্যাচের আগে। সূত্রের খবর, ইন্টার মিয়ামির সামনে মেজর লিগ সকারের প্লে অফ এবং সাপোর্টার্স শিল্ড জেতার মতো গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য রয়েছে। এই ম্যাচগুলোতে মেসিকে শতভাগ ফিট অবস্থায় পেতে চায় মিয়ামি, যাতে কোনো ঝুঁকি না থাকে। গত কয়েক বছরে মেসির ইনজুরি প্রবণতা বেড়েছে, এবং এই কারণে ক্লাব কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না।

বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মেসির ফিটনেস সংক্রান্ত উদ্বেগ এবং তার ক্লাব ক্যারিয়ারের গুরুত্ব এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে মেসির শারীরিক অবস্থার ওপর বাড়তি চাপ পড়েছে। শেষ তিন বছরে তিনি ইনজুরির কারণে প্রায় ১৫০ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন, যা তার ক্যারিয়ারের আগের সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয়, এখন তাকে নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকা কতটা জরুরি। আর্জেন্টাইন সাংবাদিক ফার্নান্দো সিজের বরাত দিয়ে রয় নেমার নামের এক সংবাদকর্মী জানাচ্ছেন, মেসি নিজেই স্কালোনিসহ কোচিং স্টাফদের সঙ্গে ইকুয়েডর ম্যাচে খেলা নিয়ে আলাপ করছেন।

বিভিন্ন পক্ষের প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যায়, এই সিদ্ধান্তটি বেশ জটিল। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ) এবং কোচ লিওনেল স্কালোনি সম্ভবত মেসির ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানাবেন, কারণ বিশ্বকাপ জেতার পর তিনি দেশের জন্য যে অবদান রেখেছেন, তার প্রতিদানস্বরূপ এটি একটি যৌক্তিক বিবেচনা। তবে সমর্থকদের মধ্যে এই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। একদল মনে করছেন, মেসির ফিটনেস এবং ক্লাবের স্বার্থ বিবেচনায় বিশ্রাম নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত। আরেক দল মনে করছেন, জাতীয় দলের প্রতি মেসির প্রতিশ্রুতি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে, যদিও এটি একটি নিয়মরক্ষার ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত, স্কালোনি এবং মেসির মধ্যকার চূড়ান্ত আলোচনার ওপর নির্ভর করছে এই ম্যাচের ভাগ্য। তবে সার্বিক পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইকুয়েডর ম্যাচে দর্শকদের মাঠে মেসিকে দেখার সম্ভাবনা খুবই কম।