শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

ফুটবল খেলা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৫, ভেঙে পড়েছে উপজেলা পরিষদের ফটক

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৪, ২০২৫, ১২:০৫ পিএম

ফুটবল খেলা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৫, ভেঙে পড়েছে উপজেলা পরিষদের ফটক

ছবি- সংগৃহীত

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে রাজৈর উপজেলা পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে রাজৈর উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে উপজেলা পরিষদ এলাকায় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে হেলিপোর্ট মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা চলছে। গতকাল বিকেলে ওই টুর্নামেন্টে অংশ নেয় মজুমদারকান্দিপশ্চিম রাজৈর গ্রামের দুই দলের কিশোর। খেলার সময় দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এর জেরে সন্ধ্যার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় রাজৈর উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়। এরপর দ্রুত স্থান ত্যাগ করে উভয় পক্ষের লোকজন। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়। তারা রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল হক জানান, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান বলেন, "ফুটবল খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ও পশ্চিম রাজৈর দুই গ্রামের মধ্যে টানা তিন দিনব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছিল। এ সময় পশ্চিম রাজৈর গ্রামের পক্ষ নিয়ে বদরপাশা গ্রামের বিপক্ষে সংঘর্ষে অংশ নেয় মজুমদারকান্দি গ্রামও। সেই ঘটনায় অন্তত ৩০টি দোকান ভাঙচুর করা হয় এবং পুলিশ সদস্যসহ অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হন। পরে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।