আগস্ট ১২, ২০২৫, ১০:২২ এএম
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থানান্তর, দুর্ঘটনার দিনের স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখানোসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছেন মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে নিহত স্বজনেরা। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট, ২০২৫) সকাল সাড়ে ৭টায় দিয়াবাড়িতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে নিহতদের স্বজনরা যে ৮ দফা দাবি তুলে ধরেছেন, সেগুলো হলো:
-
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থানান্তর: স্কুলটিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে অন্য কোনো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হবে।
-
সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার: দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
-
কোচিং বাণিজ্য বন্ধ: সারা দেশে মাইলস্টোন স্কুলসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।
-
সরকারের ক্ষতিপূরণ: সরকারের পক্ষ থেকে নিহত প্রতিটি বাচ্চার জন্য পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) ও প্রতিটি আহত বাচ্চার জন্য এক কোটি টাকা দিতে হবে।
-
স্কুলের ক্ষতিপূরণ: স্কুলের পক্ষ থেকে প্রত্যেক নিহত বাচ্চার জন্য দুই কোটি এবং প্রতিটি আহত বাচ্চার জন্য এক কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
-
স্থান পরিবর্তন: রানওয়ে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থান পরিবর্তন করতে হবে, অন্যথায় রানওয়ের স্থান পরিবর্তন করতে হবে।
-
শিক্ষিকাকে অপসারণ ও বিচার: কোচিং ব্যবসার মূলহোতা স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষিকাকে (মিস খাদিজা) ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার বিচার করতে হবে।
-
ভিডিও ফুটেজ ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা: স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখাতে হবে ও বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা জনহীন জায়গায় করতে হবে।
এদিকে নিহতদের স্বজনদের মানববন্ধন চলাকালে পাশ দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। তখন তাদের মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় অভিভাবক ও স্বজনরা বলেন, "স্কুল আমাদের বাচ্চাদের ফ্রিতে পড়াশোনা করানোর লোভ দেখাচ্ছে। আমরা এই স্কুল বন্ধ চাই।"
তারা আরও বলেন, "আজ অনেক দিন হলো, এ ঘটনার কী তদন্ত হলো, কী বিচার হলো আমরা জানতে পারিনি। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। এই ধরনের কাজ যেন আর না হয় এমন নীতিমালা চাই। এই স্কুলে কোচিং বাণিজ্য হতো, এটা সবাই জানে। এই কোচিং করার কারণে বাচ্চাগুলো মারা গেল। ফুলগুলো সব পুড়ল কেন জবাব চাই, বিচার চাই।"