আগস্ট ১২, ২০২৫, ১০:৩৪ এএম
কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে আসায় এবং বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় ৭ দিন চালু থাকার পর কাপ্তাই বাঁধের সবকটি জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮টায় বাঁধের ১৬টি জলকপাটই বন্ধ করা হয়।
এর আগে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ আগস্ট রাত ১২টার পর ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে প্রবাহিত হয়। পরে পানির চাপ আরও বাড়লে ধাপে ধাপে গেটগুলো খোলার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছিল।
সর্বশেষ গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট উচ্চতায় গেটগুলো খোলা হয়েছিল, তখন প্রতি সেকেন্ডে ৬৮ হাজার কিউসেক পানি নদীতে ছাড়া হয়। তবে ধীরে ধীরে পানির চাপ কমতে থাকায় পর্যায়ক্রমে গেটগুলো বন্ধ করা হয়, যা আজ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হলো।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সূত্রমতে, জলকপাট বন্ধ থাকলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে ২১৫ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছে ১০৭.৫ ফুট এমএসএল, যা হ্রদের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল-এর কাছাকাছি।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহামুদ হাসান বলেন, “বর্তমানে বৃষ্টিপাত কমে আসায় হ্রদের পানির স্তর কমছে, তাই গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে পানির স্তর বাড়লে আবার গেট খোলা হবে কি না, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।”