শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২

ভুয়া পরিচয় দিয়ে কোটি টাকার মালিক সরোয়ার

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০২:০৬ পিএম

ভুয়া পরিচয় দিয়ে কোটি টাকার মালিক সরোয়ার

ছবি- সংগৃহীত

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতনের পর মো. সরোয়ার (৩৩) নামে এক ব্যক্তি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভুয়া সমন্বয়ক সেজে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে কোটি কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি বদলির তদবির করেও অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনা সারাদেশ-এ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, সরোয়ার নিজেকে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলজিইডি ও জনস্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে কাজ বাগিয়েছেন। বর্তমানে বরগুনা জনস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অন্যজনের লাইসেন্স ভাড়া করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার তিনটি কাজ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৫০টি গভীর নলকূপ ও একটি লেট্রিনের কাজ চলমান। এছাড়া, তিনি বিভিন্ন সময় সোহাগ, স্বপন, সুমনসহ বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করে সরকারি দপ্তরে পরিচিতি গড়ে তুলেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সরোয়ার একসময় চান্দখলী কদভানু মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক ছিলেন। সেখানে তিনি দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ২০২২ সালের মার্চ মাসে বেতাগী থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং-১১) দায়ের হয়। ওই মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে তাকে ওই স্কুল থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরগুনার নেতা রেজাউল করিম জানান, এনসিপি'র কেন্দ্রীয় কমিটিতে সরোয়ার নামে কোনো নেতা নেই। তিনি নিশ্চিত করে বলেন যে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে এ ধরনের অনেক ভুয়া নেতা সামনে এসেছে, যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো মানুষকে হয়রানি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা। তিনি এসব প্রতারকদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

এ বিষয়ে মো. সরোয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে যুগান্তরকে জানান, তিনি কোনো এনসিপির নেতা নন। তিনি নিজেকে একটি মাদ্রাসার শিক্ষক এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন।